রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

কৃষ্ণকে মারধরকারীদের শাস্তির সুপারিশ হলেও ৩৬ দিনেও হয়নি কার্যকর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে নির্যাতনের পর ‘শিবির’ বলে চালিয়ে দেওয়ার হুমকির ঘটনা ঘটে। এতে অভিযুক্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক মো. সোলাইমানকে স্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিলসহ ৪ দফা সুপারিশ করেছিলেন তদন্ত কমিটি। কিন্তু কমিটির সুপারিশপত্র জমা দেওয়ার ৩৬ দিনেও তা এখানো কার্যকর হয়নি।

সুপারিশ কার্যকর করা তো দূরের কথা এখনো পর্যন্ত শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংই বসেনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এত বড়ো একটা সেনসিটিভ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতি কখনোই কাম্য নয়। ১৯৭১ সালেও এমন ঘটনা ঘটেনি। তাহলে কি দোষীরা সবসময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে? তাদের কি কোনো শাস্তি হবে না? প্রশাসনের উচিত দ্রুতই সুপারিশগুলো কার্যকর করা।

হলে নির্যাতনের এ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৩ দিন। কিন্তু সকল তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে হল প্রাধ্যক্ষের কাছে তদন্ত জমা পড়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ তদন্ত কমিটি গঠনের ১৩ দিন পরে।

পরে ওই দিন বিকালে হল প্রাধ্যক্ষ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি মিটিংয়ে বসে। সেই মিটিংয়ে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে স্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিলসহ ৪ দফা সুপারিশ করে শৃঙ্খলা কমিটির কাছে। কিন্তু সুপারিশের ৩৬ দিন পেরোলেও এখনো পর্যন্ত শৃঙ্খলা কমিটির কোনো সভায় অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে অভিযুক্তরা এখনো শাস্তির ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

আরও পড়ুন: অছাত্রদের হল ছাড়তে পুনরায় নির্দেশনা জাবির, ব্যবস্থার হুশিয়ারি

এ বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিলসহ ৪ দফা সুপারিশ জমা দেয় শৃঙ্খলা কমিটির কাছে। কিন্তু শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এখনো বসেনি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এক সপ্তাহ আগেও প্রশাসনকে বলেছি যাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা রয়েছে। উপাচার্য সময় দিতে না পারায় এখন পর্যন্ত শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং হয়নি। ফলে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

পদাধিকারবলে শৃঙ্খলা কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন উপাচার্য এবং সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকেন প্রক্টর। সদস্য হিসেবে থাকেন উপ-উপাচার্য, অনুষদের ডিন ও ছাত্র উপদেষ্টা। শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, উপাচার্য কেন সময় দিচ্ছেন না, সেটা আমি জানি না।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence