বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে ড. জোহা অনুপ্রেরণার উৎস: রাবি উপাচার্য

রাবিতে ‘জোহা স্মারক’ সভায় উপাচার্যের বক্তব্য
রাবিতে ‘জোহা স্মারক’ সভায় উপাচার্যের বক্তব্য  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ড. জোহা আমাদের চির অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষিত শিক্ষক দিবসকে জাতীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতির জন্য সরকারের প্রতি আমি দাবি জানাচ্ছি।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় ‘জোহা স্মারক’ বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষানীতিতে শিক্ষকদের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। সেই শিক্ষকদের একজন ড. জোহাকে পেয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। যিনি কেবল শিক্ষকই ছিলেন না, ছিলেন প্রেরণা। যার আত্মাহুতির মাধ্যমে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন তরান্বিত হয়েছিল। পাক হানাদারের বিরুদ্ধে বাঙালি গড়ে তুলেছিল দুর্বার আন্দোলন। ছাত্রদের জন্য জীবন দেওয়া এই শহীদ বুদ্ধিজীবী বাঙালির জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় নাম হয়ে আছে।

আরও পড়ুন: প্রক্টরের সঙ্গে হলে ফিরলেন ইবির সেই ছাত্রী

এসময় ‘বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষা’ শীর্ষক বক্তৃতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম. লুৎফর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সমাজে বিজ্ঞান তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর মেঘনাদ সাহা, সত্যেন বোস প্রমুখ বিজ্ঞানী অসমান্য অবদান রেখেছেন। বোস নাম থেকে নেওয়া বোজন (Boson) একটি বহুল প্রচলিত বৈজ্ঞানিক শব্দ। আচার্য জগদ্বীশচন্দ্র বসু ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় অত্যন্ত উঁচু স্তরের বিজ্ঞানী ছিলেন। এই চার জনের মধ্যে তিন জনেরই জন্ম এপার বাংলায়। তবে সামগ্রিক সমাজ বিবেচনা করলে কয়েক দশক আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে দু একটি রেডিও ব্যতীত বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি খুব কমই ব্যবহৃত হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। ১৯৯০ সালে যেখানে ছিল মোট শিক্ষার্থীর ২৮%, ২০০৮-এ এসে দাঁড়ায় ১৯%-এ। বর্তমানে এটি আবার কিছুটা বেড়ে ২১% হয়েছে। এই হ্রাস-বৃদ্ধির ব্যাখ্যা কঠিন নয়। অর্থনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেলে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদসহ ব্যবসা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদেরও চাহিদা বাড়ে। আবার এমবিএ ডিগ্রি-প্রাপ্তরাই সাধারণত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন, যাদের বেতন সবচেয়ে বেশি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক, রাবি এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, বিশিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে।


সর্বশেষ সংবাদ