ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিবেদনে টনক নড়ল

গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন সরাচ্ছে রাবি প্রশাসন

ব্যানার-ফেস্টুন সরানো হচ্ছে
ব্যানার-ফেস্টুন সরানো হচ্ছে  © টিডিসি ফটো

গাছের আমাদের পরম বন্ধু। কিন্তু পেরেক ঠুকে সেই বন্ধুকে মৃত্যুর মুখে পতিত করার হিড়িক পড়েছিলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে। গাছে পেরেক ঠুকে সাইনবোর্ড-বিজ্ঞাপন টানানো হচ্ছিলো একের পর এক।

এ নিয়ে গত শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ‘পেরেকে জর্জরিত রাবির হাজারো গাছ, কমছে আয়ু’ শিরোনামে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রশাসনের টনক নড়ে। এরপর পরিবেশের বন্ধুকে বাঁচাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছগুলো থেকে সরানো হচ্ছে সকল ব্যানার-ফেস্টুন। আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গাছগুলোতে পেরেক ঠুকে লাগানো সাইনবোর্ড-ব্যানার, ফেস্টুন খুলতে দেখা যায়।

পেরেকের আঘাতে গাছের যে ছিদ্র হয় সেই ছিদ্র অংশ দিয়ে পানি, বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব ঢুকে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে এসব গাছের। এসব চিন্তা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

সরেজমিন দেখে যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্যারিস রোড, টুকিটাকি চত্বর, কাজলা গেট, পরিবহন মার্কেট, হলগুলোর সামনে, বিনোদপুর ও রেলস্টেশনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গাছগুলোতে পেরেক ঠোকে লাগানো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণার সাইনবোর্ড-ব্যানার, ফেস্টুন ও বিজ্ঞাপন খোলা হচ্ছে। এসব ব্যানার খুলে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্ন কিছু কর্মী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পলাশ হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। গাছে পেরেক ঠুকলে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এতে তাদের ক্ষতি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব চিন্তা ভাবনা করে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে জন্য আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানায়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে গাছগুলো থেকে সাইনবোর্ড-ব্যানার খুলে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছি। গাছ আমাদের অক্সিজেন নিতে সাহায্য করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো শিক্ষার্থী, সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী যেন পেরেক ঠোকে সাইনবোর্ড-ব্যানার না লাগায় আমরা তাদেরকে নির্দেশন দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, যদি কেউ ব্যানার ফেস্টুন লাগায় তাহলে গাছে পেরেক ঠোকে লাগানো যাবে না। বাঁশ- রশ্মি ব্যবহার করে টাঙাতে পারবে। নিষেধ করার পর যদি কেউ গাছে পেরেক ঠোকে সাইনবোর্ড-ব্যানার লাগায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ