ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্ক না হলে চুরি হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য

ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্কতা না হলে চুরি হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য
ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্কতা না হলে চুরি হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য  © প্রতীকী ছবি

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ছাড়া চলা প্রায় অসম্ভব। আমাদের প্রতিনিয়ত কোনো না কোনোভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারে মোবাইলে ডাটা ব্যবহারের পাশাপাশি ওয়্যারলেস ফিডালিটি বা ওয়াইফাই সবার কাছে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এয়ারপোর্ট, বাস, শপিং মল, রেস্টুরেন্টসহ অনেক পাবলিক প্লেসে বর্তমানে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধার দেখা যায়। আর আমরা হরহামেশাই এসব ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকি।

প্রযুক্তি যত উন্নত তার সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে তথ্য নিরাপত্তহীনতা। হ্যাকার প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফাঁদ পেতে গ্রাহকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় হ্যাকার চাইলে আপনি ফোনে কী ওয়েবসাইট ব্রাউজ করছেন তা দেখতে পারবে। নতুন টাইপ করে কোনো পাসওয়ার্ড দিলে তার তথ্য নিতে পারে। ফাইল শেয়ারিং এর মাধ্যমে আপনার ডিভাইস থেকে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এছাড়াও আপনাকে ফেলতে পারে নানা ধরনের সমস্যায়।

এসব চিন্তা মাথায় রেখে আমাদের পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করলেও নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত। আর কী কী সতর্কতা মেনে এসব পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা উচিত তাও জানা প্রয়োজন।

পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে আমাদের যে সতর্কতাগুলো মানা প্রয়োজন:

পাসওয়ার্ড বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে ব্রাউজ না করা
হ্যাকার মূলত ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাকের (এমআইটিএম) মাধ্যমে ওয়াইফাই থেকে ডাটা চুরি করে থাকে। আপনি যদি হ্যাকারের ফাঁদ পাতা ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে আপনার কোন অ্যাকাউন্টে পাসওয়ার্ড বা ব্যক্তিগত কোন তথ্য টাইপ করে দেন তাহলে এমআইটিএম এর মাধ্যমে হ্যাকারের কাছে তা চলে যাবে। বিশেষ করে অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ পাবলিক ওয়াইফাইতে ব্যবহার না করা উচিত। পাশাপাশি নতুন করে কোনো ধরনের অ্যাকাউন্টে পাসওয়ার্ড টাইপ করা থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।

হ্যাকার প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফাঁদ পেতে গ্রাহকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় হ্যাকার চাইলে আপনি ফোনে কী ওয়েবসাইট ব্রাউজ করছেন তা দেখতে পারবে। নতুন টাইপ করে কোনো পাসওয়ার্ড দিলে তার তথ্য নিতে পারে। ফাইল শেয়ারিং এর মাধ্যমে আপনার ডিভাইস থেকে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এছাড়াও আপনাকে ফেলতে পারে নানা ধরনের সমস্যায়।

ফাইল শেয়ারিং অপশন চালু না রাখা
মোবাইল ফাইল শেয়ারিং অপশন যখন চালু থাকবে হ্যাকার চাইলে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনার ফোন থেকে যেকোনো ফাইল চুরি করে নিতে পারবে। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, আমরা যখন শেয়ার-ইট বা অন্য কোন উপায়ে ফাইল শেয়ার করতে যাই তখন দুটি ফোন একটি অন্যটির সাথে হটস্পটের মাধ্যমে ওয়াইফাই কানেক্ট হয়ে যায়। মূলত এই পদ্ধতির মাধ্যমেই হ্যাকার তথ্য চুরি করে থাকে।

এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা
এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে কিছুটা নিরাপদ থাকা যায়। আমরা সাধারণত ফ্রি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকি। এটাতে বিশেষ কোনো উপকার হয় না। তাই আমাদের ম্যালওয়্যার, ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে পেইড এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত।

অপরিচিত ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত না হওয়া এবং অপরিচিত কারো সাথে ব্যক্তিগত রাউটারের পাসওয়ার্ড শেয়ার না করা উচিত আমাদের। যদি কোন প্রয়োজনে শেয়ার করা হয়। তাহলে আবার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলতে হবে। এভাবে মূলত সাইবার অপরাধের ঝুঁকি থাকে। কেউ যদি আপনার ওয়াইফাই ব্যবহার করে কোন ধরনের সাইবার অপরাধ করে তাহলে নিরাপত্তা বাহিনী নেটওয়ার্ক ট্রেস করে প্রথম আপনাকেই পাবে। সুতরাং এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া অত্যন্ত জরুরি

সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের উচিত যতটা সম্ভব ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এড়িয়ে চলে মোবাইল ডাটা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা।

ওয়াইফাই ব্যবহার করলেও ঘরের বাহিরে গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আমাদের ফোনে মোবাইল ডাটা রাখা উচিত। ফোনে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে যার মূল্য টাকা দিয়ে পাওয়া যায় না। তাই আমাদেরকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।


সর্বশেষ সংবাদ