সিনিয়রদের সালাম না দেয়ায় রংপুর পলিটেকনিকে সংঘর্ষ

পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কলেজ প্রশাসন
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কলেজ প্রশাসন  © সংগৃহীত

আবাসিক শিক্ষার্থীদের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে বৈঠকের পর এক শিক্ষার্থী ও সিনিয়রদের এক ছাত্রলীগ কর্মীর সালাম না দেয়ার ঘটনায় লঙ্কাকাণ্ড ঘটেছে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার দিকে পলিটেকনিকের আবাসিকের শিক্ষার্থীরা বিদ্যুতের বিল সরকারিভাবে দেয়ার দাবিতে অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। একঘণ্টা বৈঠকের পর প্রতিনিধিদল প্রশাসনিক ভবনের নিচে নেমে আসে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের বৈঠকের আপডেট জানান।

এ সময় চতুর্থ সেমিস্টারের অনাবাসিক ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী নাভিদ সেখানে গিয়ে সিনিয়রদের সালাম না দিয়ে তুমি সম্বোধন করলে তার সঙ্গে হট্টগোল বাঁধে।

পুলিশ জানায়, হট্টগোলের সময় নাভিদ তার ব্যাগে থাকা চাপাতি বের করে ঘোড়াতে থাকলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে দুই গ্রুপকেই অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করে। বৈঠক থেকে বের হয়ে পুলিশী পাহারায় নাভিদকে ক্যাম্পাস থেকে বের করার সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনে নাভিদকে ছিনিয়ে নিয়ে মারধর শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) উৎপল কুমার জানান, নাভিদ নামের এক ছাত্র তার ব্যাগে থাকা চাপাতি বের করে ঘোরাতে থাকলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

আরও পড়ুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স-মাস্টার্স পড়তে পারবেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

এদিকে, এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন রংপুর পলিটেকনিকের চিফ ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) মো. আসাদুজ্জামান, চিফ ইনস্ট্রাক্টর (সিভিল) মো. ইউসুফ আলী, চিফ ইনস্ট্রাক্টর (কম্পিউটার) ফুয়াদ মো. তৌহিদুল আশরাফ, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (সিভিল) মো. আবুল কালাম, ইনস্ট্রাক্টর (কম্পিউটার) হেলাল উদ্দিন আহমেদ। 

কলেজ অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, গত ৫ জুলাই সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী আবাসিক বিদ্যুতের বিল শিক্ষার্থীদের দেয়ার নিয়ম করায় ওই বিল দেয়ার আর সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এসেছিল। তাদেরকে আমি বুঝিয়ে বলার পর তারা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর তারা নিচে গিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলে। এ সময় সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়।

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, আমি শুনি নাভিদ নামের আমাদের এক ছাত্র সেখানে গিয়ে সিনিয়রদের সম্মান না দিয়ে কথা বলে এবং ওই ঘটনায় ঢুকতে চায়। তখন সিনিয়ররা বলে এটা আবাসিকের ব্যাপার তোমার মাথা গলানোর প্রয়োজন নেই। তখন সে তার ব্যগ থেকে চাপাতি বের করে ঘোরাতে থাকে। তখন শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে মারধর করে। বিয়ষটি আমি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ আরও বলেন, দুই পক্ষকে নিয়ে পুলিশ আমার অফিসে বসে ঘটনাটি সমঝোতা হয়। আমরা নন টেকের চিফ ইন্সট্রাক্টর মো. আসাদুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করি। সুপারিশের আলোকে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলি।


সর্বশেষ সংবাদ