জনগণ ভোট বর্জন করে নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে: ইউট্যাব

ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)
ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)  © সংগৃহীত

রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে একতরফা ও ডামি বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। একই সঙ্গে নির্বাচন স্বতস্ফূর্তভাবে বর্জন করায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান। 

সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে ইউট্যাবের নেতারা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বহু আগেই। ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। জনগণ ভোট বর্জন করে নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে। সেজন্যই জনগণ আর ভোট নিয়ে আগ্রহ দেখায় না। ফলে ডামি প্রার্থী দিয়ে নিজেরা নিজেরাই প্রহসনের নির্বাচন করছে আওয়ামী লীগ সরকার। 

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় হয়েছে উল্লেখ করে নেতারা বিবৃতিতে বলেন, জনগণ এবং গণতন্ত্রকামী মানুষের এই প্রত্যাখ্যানই প্রমাণিত হয় দেশের জনগণ নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে। এজন্য সম্মানিত দেশবাসী ও ভোটারদেরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।

গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন ও দুর্নীতিতে দেশের মানুষ অতীষ্ঠ উল্লেখ করে নেতারা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে আওয়ামী লীগ। অবৈধ সরকার ১৫ বছরে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে জনগণের আস্থা নেই।

নেতৃদ্বয় বলেন, অবৈধ সরকারের পাতানো ও ডামি নির্বাচনে দেশের কোনো সচেতন মানুষ ও বিবেকবান ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাননি। ভোটারশুন্য ভোট কেন্দ্রে কেবলই ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া কোনো মানুষও ছিলেন না। ছিলো শুধু চতুষ্পদ জন্তু। জনগণ বিরোধী দলগুলোর ডাকে স্বতস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়ে ও সংহতি জানিয়ে জালিয়াতির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বর্জন করেছে। 

ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা আরও বলেন, ডামি নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল মানুষ প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনাকেই বর্জন করেছে। বাংলাদেশর গৌরবগাঁথা দিনগুলোর সঙ্গে ৭ জানুয়ারি আরেকটি গৌরবের দিন অর্জিত হল, বাংলাদেশের জনগণ ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এই ডামি নির্বাচনকে বর্জন ও বয়কট করেছে। ভোট কেন্দ্রে ভোটার ছিল না, জনগণ ভোট দিতে যায়নি। 

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সমগ্র সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতি, সভ্যতা-সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে এবং বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করেছে উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। অতএব শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের একসাথে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।


সর্বশেষ সংবাদ