ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বিএনপির কর্মকাণ্ডে নীল দলের নিন্দা, পুলিশের হামলায় নিন্দা সাদা দলের

বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে
বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে  © সংগৃহীত

বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় সংঘর্ষ ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও হতাহতের ঘটনার পর হরতাল ডেকেছে দলটি। দলটির এমন ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও হরতালের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দল এদিনের পুলিশি হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। আজ শনিবার রাতে পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

হরতাল ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে নীল দল বলছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, জামায়াত-বিএনপি অপশক্তি আবারও রাষ্ট্রবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও হত্যার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে, আজকে তাদের হাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্য নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি পিটিয়ে জখম করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ জনের মত সাধারণ মানুষ, পুলিশ ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক-প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। 

“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল জামায়াত-বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী, ধ্বংসাত্মক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল দেশবাসীকেও এ ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহবান করছে।”

অপর দিকে বিএনপি আয়োজিত শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে নির্মম ও ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সাদা দল বিবৃতিতে বলছে, সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একদফা দাবিতে আজকে বিএনপি আয়োজিত শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক ও নির্মম হামলা এবং মহাসমাবেশ বানচালের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের পদত্যাগ এবং গণতন্ত্র “পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএনপির নেতৃত্বে চলমান গণআন্দোলনে সরকার ভীত ও অস্বস্তিতে পড়েছে। এ অবস্থায় আজকের মহাসমাবেশে গণজোয়ার দেখে সরকার তার ভবিষ্যৎ পরিণতি উপলব্ধি করতে পেরেছে। তাই বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জনজোয়ার প্রতিহত করে আবারো ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার অপেচেষ্টায় মেতে উঠেছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজকের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে ন্যাক্কারজন হামলা এরই বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনে করি। তবে আমরা বিশ্বাস করি, এসব হামলা, নিপীড়ন-নির্যাতন ও কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই সরকার গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক মানুষের আন্দোলনকে প্রতিরোধ করতে পারবে না। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনের বিজয় অত্যাসন্ন।

“দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে গণদাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।”


সর্বশেষ সংবাদ