‘স্টেটসন আন্তর্জাতিক পরিবেশ মুট কোর্ট’ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন ঢাবি শিক্ষার্থী ফারিহা
- শেখ আবদুল্লাহ্ ইয়াছিন
- প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪০ PM , আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৭ PM

‘স্টেটসন ইন্টারন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল মুট কোর্ট’ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্টেটসন ইউনিভার্সিটিতে গেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারিহা নওশিন তাসফিয়া।
চট্টগ্রামের মেয়ে ফারিহা ২০১৮ সালে চট্টগ্রামের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে মাধ্যমিক ও ২০২০ সালে চট্টগ্রাম কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক গণ্ডি শেষ করে। আইনজীবী বাবাকে দেখে ইচ্ছে জাগে আইন নিয়ে পড়াশোনার। একটা সময় স্বপ্ন দেখতে থাকেন বিচারক হওয়ার। স্বপ্ন ছুতে অংশ নেন ভর্তিযুদ্ধে। সেসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮তম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪তম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩তম মেধা তালিকায় স্থান লাভ করে।
স্বপ্ন জয়ের জন্য বেছে নেন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যুক্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুট কোর্ট সোসাইটির সাথে (ডিইউএমসিএস)।
মূলত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুট কোর্ট আয়োজিত ১২তম বার্ষিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর মধ্যে দিয়ে তার মুটিংয়ের যাত্রা শুরু। সে পর্বে মুটিং এ খুব একটা আশানুরূপ ফল করতে না পারলেও পরবর্তীতে দ্যুতি ছড়িয়েছে ফারিহা। বর্তমানে ভালো রিসার্চার হিসেবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (আইইউবি) অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক পরিবেশ মুট প্রতিযোগিতায় ৩৪ টি দলকে হারিয়ে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ফারিহা ও তার দল। এবার ৮ এপ্রিল স্টেটসন আন্তর্জাতিক পরিবেশ মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় গেছেন ফারিহা ও তার দল। তার দলে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম ও তাপস্বী রাবেয়া। এর আগে ফারিহা ও তার দল ‘মনরো ই প্রাইস মিডিয়া মুট কোর্ট’ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলো যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ফারিহা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সব টিম আমরা এখানে প্রিলিমিনারি ৪টি রাউন্ডে অংশ নিবো। প্রথম দিন দুটি এবং পরবর্তী দিন দুটি। এখানে কোয়ালিফাই করতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবো। ভালো সংবাদ হলো, আমরা প্রথম দিনে নেপালের সাথে বিজয়ী হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ৭ এপ্রিল সকালে জেনেছি আমরা প্রতিযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছি। সেদিন দুপুরেই টিকেট করেছি পরের দিনের ফ্লাইটের জন্য। পুরো জার্নিটা একপ্রকার চ্যালেঞ্জিং ছিল। যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ। আমাদের ভবিষ্যৎ যাত্রা যাতে সুন্দর হয় তার জন্য দোয়া চাই।’