ঢাবি ছেড়ে রাবির আইনে ভর্তি, সহকারী জজ পরীক্ষায় সপ্তম

টিডিসি সম্পাদিত
টিডিসি সম্পাদিত

১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলে সহকারী জজ হিসেবে মেধাতালিকায় সপ্তম স্থান অর্জন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ৪১তম ব্যাচের ছাত্রী ফাইকা তাহজীবা। তিনি প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছিলেন। পরে ভর্তি বাতিল করে রাবির আইন বিভাগে ভর্তি হন।

ফাইকা তাহজীবা অধ্যাপক দম্পতির একমাত্র সন্তান। তার বাবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফখরুল ইসলাম। তার মা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ওয়ারদাতুল আকমাম। তাহজীবা ২০১৭-১৮ সেশন আইন বিভাগ ৪১তম ব্যাচে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। অনার্সে তার সিজিপিএ ৩.৮৩ ও মাস্টার্সে ৩.৮২। 

মেধাতালিকায় সপ্তম স্থান অর্জন বিষয়ে জানতে চাইলে তাহজীবা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আইন বিষয়ে পড়া প্রথমে খুব একটা ইচ্ছা ছিল না। আমার ইচ্ছা সায়েন্সের কোনো বিষয়ে পড়ব। ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া পর আমি যখন আইন বিষয়ে পড়ার সুযোগ পেলাম, তখন মনে হলো এটা তো রয়্যাল ডিপার্টমেন্ট। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ দেশের সর্বজনস্বীকৃত। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থ অ্যান্ড এনভায়নমেন্ট অনুষদে ভর্তি হয়েছিলাম। পরে ভর্তি বাতিল করে রাবিতে ভর্তি হই।’

আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষা দিচ্ছি কিন্তু কোয়ালিটি নেই: উপাচার্য

তিনি বলেন, ‘ভর্তি হওয়ার পর আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল ভালো রিজাল্ট করব। সেই ধারাবাহিকতায় অনার্স-মাস্টার্সে আমি প্রথম স্থান অর্জন করি। অনার্সে আমার সিজিপিএ ৩.৮৩ ও মাস্টার্সে ৩.৮২।’

সাফল্যের বিষয়ে ফাইকা তাহজীবা বলেন, ‘এ অর্জন আমার একার নয়। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি আমার শিক্ষকদের। তারা সব সময় আমাকে সহযোগিতা করেছেন, সাহস জুগিয়েছেন। আমার বাবা-মা দুজনেই শিক্ষক। আমার এ সাফল্যের কৃতিত্ব তাদের দিতে চাই। এ ছাড়া আমার সহপাঠী ও বন্ধুবান্ধন সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুডিশিয়ারে প্রবেশের পর আমার প্রথম কাজ হবে সৎভাবে কাজ করা। কোনো সময় যেন আমার দ্বারা অন্যায় কাজ না হয়। সব সময় আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করব। জুডিশিয়ারে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার ইচ্ছা আছে।’

আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সহকারী জজ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। এতে সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ ও মনোনীত ১০২ জন প্রার্থীর রোল নম্বরসমূহ মেধাক্রম অনুসারে প্রকাশ করা হয়। ১০০তম থেকে ১০২তম মেধা অধিকারী প্রার্থী একই নম্বর প্রাপ্ত হওয়ায় নিয়োগ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১০০ জন প্রার্থীর সঙ্গে অতিরিক্ত ২ জন প্রার্থীসহ মোট ১০২ জন প্রার্থীকে মনোনীত করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ