চবি ছাত্রী হেনস্তায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশ
ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশ  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও ধর্ষণের আখড়া বানিয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে ৫ জন মিলে তার ভিডিও ধারণ করেছে। চবি শাখা ছাত্রলীগের নেতারা সেই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বাধা প্রদান করে।

আরও পড়ুন: চবিতে কী হয়েছিল সেই রাতে?

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করছে আমরা তাদের সাথে আছি। ২৪ ঘন্টার ভিতরে এই কালপ্রিটদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা না হলে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠবে। ছাত্রলীগের এক সময়ের গৌরবউজ্বল  ইতিহাস থাকলেও আজ তারা সন্ত্রাসী চাদাবাজী আর ধর্ষণের যে মহামারী সারা দেশে ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলা এখন সকলের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে পূর্ণ সংহতি জানাই। ছাত্রলীগের দোষী শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে  গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় ছাত্র অধিকার পরিষদ সকল ক্যাম্পাস ও জেলায় আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে। 

আরিফুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন নির্যাতন ও ধর্ষণের সাথে ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত থাকে। '৯৮ সালে জাবিতে ধর্ষণের সেঞ্চুরি মানিক, সিলেট এমসি কলেজে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, ১৫ সালে ঢাবি ও জাবিতে পহেলা বৈশাখে যৌন নির্যাতনের সাথে ছাত্রলীগ জড়িত ছিল। এই সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান যৌন নির্যাতন মূলক বক্তব্যের কারনে বরখাস্ত হয়েছিল। কিন্তু আমরা এসকল অপরাধের সুস্থ বিচার ও তদন্ত হতে দেখিনি। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, চিটাগাং বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নয়। এখানে ছাত্র,ছাত্রী কেউ নিরাপদে থাকতে পারেনা। ছাত্রীরা যৌন হেনস্তার স্বীকার হয়, বিরোধীরা ছাত্রলীগের অস্ত্রের কারণে মানবাধিকার হারিয়ে ফেলে, শিক্ষকরা ক্লাসে ছাত্রলীগের ভয়ে ঠিকমতো কথা বলতে পারেনা। ছাত্রলীগের অস্ত্রের রাজনীতির অবসান করতে হবে। চাকসু নির্বাচন না থাকার কারণে সেই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা সব ধরণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ