ছাত্রলীগের নেত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে বহিষ্কার হলেন পৌর সম্পাদক

মাশতুরা মোশাররফ ঐষিকা ও সজিব আহমেদ
মাশতুরা মোশাররফ ঐষিকা ও সজিব আহমেদ  © সংগৃহীত

ফরিদপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব আহমেদকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহামেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তবে কী কারণে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে, ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফরিদপুর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক সজিব আহমেদকে নিজ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। পৌর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ শান্তকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হলো।

অব্যাহতি পাওয়া সজিব আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানের জন্মদিনের একটি প্রোগ্রামে অনুষ্ঠানের বক্তব্যে সব নেতার নাম বলা হলেও ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতার নাম বারবার না বলাতে আমি প্রতিবাদ করি। আর এর জের ধরে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (সাবেক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাশতুরা মোশাররফ ঐষিকার সঙ্গে কথাকাটি হয়। আর এর সূত্র ধরেই আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  

সজিব আরও বলেন, আমি ১২ বছর ধরে ছাত্রলীগ করি তবুও আমাকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  

এ ব্যাপারে মাশতুরা মোশাররফ ঐষিকা বলেন, আমার সঙ্গে তর্কের জের ধরে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সেটা ভুল কথা। একটি প্রোগ্রামে আমার এক জুনিয়র উপাস্থাপন করছিল। তখন, অব্যহতি পাওয়া সজিব অভিযোগ করেন সেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতার নাম বক্তব্যে উপস্থাপন করেনি। এটা নিয়ে একটু কথাকাটি হয়। তখন সে উগ্র আচরণ করেন। তবে ঐষিকা দাবি করেন, ওই দুই নেতার নাম প্রোগ্রামে বলা হয়েছে।  

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিমুল বলেন, মেডিকেলের এক কর্মীর সঙ্গে সজিবের বাগবিতণ্ডা হয়েছে বলে জানি। কিন্তু ঐশিকার সঙ্গে সজিবের বাগবিতণ্ডা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।


সর্বশেষ সংবাদ