সরকারের সুবিধাভোগীরা ইসিতে, পুর্নগঠনের দাবি নুরের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৩২ PM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৩২ PM
সরকারের সুবিধাভোগী ও অনুগত ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির সদস্য সচিব নরুল হক নুর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়েছে। বিবৃবিতে কমিশন পুর্নগঠনের দাবিও জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবিব খান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রথমত, সরকারের পছন্দসই ব্যক্তিদেরকে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে ভিন্নমতের রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে একটি পক্ষপাতদুষ্ট আইন করা হয়েছে। যা সর্বজন গ্রহনযোগ্য ছিলো না।
আরও পড়ুন: সিইসি হলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল, প্রজ্ঞাপন জারি
দ্বিতীয়ত, আওয়ামীলীগের উপকমিটির আদলে সরকারি দলের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সার্চ কমিটি বিভিন্ন ব্যক্তি ও দলের প্রস্তাবিত ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করলেও চূড়ান্ত ১০ জনের তালিকা প্রকাশ করেনি। যা তাদের কাজের অস্বচ্ছতা প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নিয়োগ, পদোন্নতি নিয়ে বিতর্কসহ অসদাচারণের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বিতর্কিত নুরুল হুদা কমিশনের সচিব ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান অবসরের পরও সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী হিসেবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
‘‘সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান ও সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে সদ্য অবসরে যাওয়া এজন সচিব। যেখানে সার্চ কমিটির বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্ট নাগরিকদের পরামর্শ ছিলো সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী ও সদ্য অবসরে যাওয়া কোন ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ না দেয়া, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের ৪ জনই সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী।’’
এমনকি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে রয়েছে আইন না মানাসহ বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ। তাই গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠনের জোরালো দাবি জানানো হয়েছে বিবৃবিতে।