তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চান নুর

নুরুল হক নুর
নুরুল হক নুর  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন নয়। জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের যে ব্যবস্থা ছিল, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত প্রবাসীদের বিমানবন্দরে হয়রানি ও বিমানের টিকিটমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘এরা সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এরা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। কাজেই আমরা যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই তাহলে রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য নামতে হবে। সুশাসন ছাড়া এই নৈরাজ্য বন্ধ হবে না। আর গণতন্ত্র না থাকলে সুশাসন আসবে না।’

আরও পড়ুন: রাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ নিয়ে যা বললেন ভিসি

সবাইকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে জানিয়ে নুর বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশ একটা নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে চলছে। কক্সবাজারে স্বামীর সামনে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হচ্ছে, ঠাকুরগাঁওয়ে দশম শ্রেণির একজন ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার প্রতিবাদ করতে আবার পুলিশ বাধা দিচ্ছে। জয়পুরহাটে ছাত্রদের এক নেতাকে ছাত্রলীগের এক নেতা কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ চাই।’

গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব বলেন, ‌‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবা পেতে হলে মানুষকে পথে পথে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। এর থেকে কি কোনও উত্তরণ ঘটছে? দীর্ঘদিন ধরে একই চিত্র আমরা দেখে আসছি। তাই আমাদের কথা বলতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। যে যেখানে অন্যায় দেখবেন সেখান থেকেই প্রতিবাদ করতে হবে।’

আরও পড়ুন: জাবিতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ভর্তি কমিটির সভায়

মহামারির সময়ে প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে এবং দেশের রেমিট্যান্সের প্রবাহকে এগিয়ে নিচ্ছে জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘কিন্তু কাতার থেকে ফোন পাই, ভাই আমি তিন মাস ধরে পাসপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের দূতাবাসে ঘুরে বেড়াচ্ছি, ভাই দেশে ছুটিতে এসেছি, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে এখনো টিকিট পাচ্ছি না। আমি টিকা না পেলে যেতে পারব না, পরিবার রাস্তায় না খেয়ে মরবে। এইগুলো হচ্ছে আজ প্রবাসীদের আর্তনাদ।’

সরকারের সমালোচনা করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘দেশের এতগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কানে প্রবাসীদের আর্তনাদ প্রবেশ করে না। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবদের যে দাপট। সেখানে যে স্থায়ী কমিটি মূল কাজগুলো তো তারা করবে। কিন্তু জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। দায় থাকলে বিমান ভাড়ায় ভর্তুকি দিয়ে হলেও শ্রমিকদের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করত, টিকিটের দাম বাড়াত না।’

আরও পড়ুন: গুচ্ছে আস্থা হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশের এজেন্সিগুলো বাইরে লোক পাঠাতে এক লক্ষ টাকার জায়গায় ৫ লক্ষ টাকা নেয় জানিয়ে বলেন, ‘তারপরেও অনেকের চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে প্রবাস জীবন কাটিয়ে আবার ফিরে আসতে হচ্ছে। কনস্যুলেটে যাচ্ছে, অ্যাম্বেসিতে যাচ্ছে, বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। কিন্তু কেউ এর প্রতিকার করছে না।’

নুর আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় রায়হান নির্যাতনের কথা জানালো। তখন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেছে, এর দায় আমরা নেব না। অথচ তার দায় নিয়েছে কারা? ওই দেশেরই অভিবাসন সংস্থা। আন্তর্জাতিক মিডিয়া, মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন তাই তিনি দেশে আসতে পেরেছেন।’


সর্বশেষ সংবাদ