জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আত্মপ্রকাশ
- চবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০১:০২ PM , আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০১:১০ PM

বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থান এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে কাজ করার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল ‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইউনিটার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সজীবকে আহবায়ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অন্তর সফিউল্লাহকে সদস্য সচিব ও সৈয়ব আহমেদ সিয়ামকে মুখপাত্র করে জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ আত্মপ্রকাশ করে।
এছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদে আছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ও বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশশের (বিআরএফ) নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, বিআরএফের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডা. এস এম ইয়াসির আরাফাত, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষক মোহাইমিন পাটোয়ারী মোনায়েম খান , এবং গবেষক ফারহিন ইসলাম।
মুখপাত্র সৈয়ব আহমেদ সিয়াম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এই সংগঠন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। এর মূল লক্ষ্য হবে জুলাইয়ের শহীদ এবং আহতদের নিয়ে গবেষণা, প্রকাশনা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা, শহীদ ও আহতদের পরিবারের যৌক্তিক দাবিতে তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রাখা। এই সংগঠনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী যেকোনো শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যুক্ত হতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, সংগঠনটির কাঠামোতে থাকবে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদ, যার দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হবে সংগঠনের সকল কার্যক্রম। বিশেষভাবে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাদের মতামতকে সর্বোচ্চ প্রাধন্য দিয়ে সংগঠনটি তার কর্মকৌশল নির্ধারণ করবে।
উল্লেখ্য, ‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ" শহীদদের নিয়ে '২৪ গণঅভ্যুত্থান ইতিহাস প্রামাণ্য সংকলন ‘শহীদদের শেষ মুহূর্তগুলো’ (১ম খণ্ড) নামে একটি বই সিয়ান পাবলিকেশন থেকে প্রকাশ করেছে। এই বইয়ে ২৬ জন শহীদের শেষ মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। বইয়ে থাকা প্রত্যেকটি ব্যক্তির সাক্ষাৎকার সরাসরি গ্রহণ করেছে জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সদস্যরা।