ইফতারের ৯০ লাখ টাকার উৎস কী, জানালেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৫ PM , আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫, ১১:০৩ PM

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, পবিত্র রমজান মাসে ইফতার পার্টির জন্য প্রতিদিন ৩ লাখ টাকা খরচ করছে ছাত্রশিবির। ওই হিসাবে ছাত্রসংগঠনটির গোটা মাসে খরচ হবে ৯০ লাখ টাকা। ছাত্রশিবিরের টাকার উৎস কী সেটা জানতে চেয়েছেন ছাত্রদলের এই নেতা। এবার ছাত্রদল সাধারণ সম্পকদের কথার জবাব দিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। ছাত্রশিবির কীভাবে ‘ফান্ড সংগ্রহ’ করে, কোন খাতে কীভাবে খরচ করে ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছেন ছাত্রশিবির নেতা।
শুক্রবার (৭মার্চ) রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে ছাত্রশিবির সেক্রেটারি বলেন, ইফতার আয়োজনে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা বড় ধরনের সহযোগিতা করেন। আমাদের সংগঠনের সকল সাবেকরা বর্তমান দায়িত্বশীলদের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সহযোগিতা করেন। ছাত্রশিবিরের প্রত্যেক সদস্যই বায়তুলমাল দেন, সেখান থেকেও আমাদের আয় হয়। এছাড়া সংগঠনের প্রকাশনীর মুনাফা এবং শরিয়ত অনুমোদিত অন্যান্য খাতসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থ বায়তুলমালের আয়ের উৎস। এ সকল আয় থেকে সংগঠনের বিভিন্ন কাজে ব্যয় করা হয়। ইফতারের ব্যয়ও তার মধ্যে অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশন করা জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে। এমনকি বাড়ি থেকে পাঠানো টাকাও সংগঠনের জন্য ব্যয় করেন।
ছাত্রদলের উদ্দেশে ছাত্রশিবির সেক্রেটারি বলেন, আমাদের টাকা কোথায় থেকে আসে তার সুনির্দিষ্ট খাত আছে, সেগুলো আমার উল্লেখ আগেও করেছি, এখনও করছি। কিন্তু ছাত্রদল বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করে, বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে, তাদের টাকা কোথা থেকে আসে? ছাত্রদল কী তা প্রকাশ করবে?
আরও পড়ুন: ইফতারিতে শিবিরের ৯০ লাখ টাকা খরচের হিসাব জানতে চাইলেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক
এর আগে শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি গণমাধ্যমে বলেছেন তারা প্রতিদিন ইফতারিতে ৩ লাখ টাকা খরচ করছেন। যদি প্রতিদিন তিন লাখ টাকা করে ব্যয় করেন, তাহলে এই রমজান মাসে তাদের মোট ৯০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। আমরা আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে তাদের (ছাত্রশিবির) কাছে জানতে চাই, এই ৯০ লাখ টাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাধারণ সংগঠন হিসেবে তারা কী অর্জন বা আয় করেছেন। তাদের অর্থায়নের উৎস কী সেটাও আমরা তাদের কাছে জানতে চাই।