শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রদল ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা
- গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৯ PM , আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৩ PM

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক সাদমান ইসলাম পলাশকে লাঞ্ছিত করারও অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, একুশের প্রথম প্রহরে প্রথমে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল শ্রদ্ধা জানায়। এরপরই গণ অধিকার পরিষদ শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ বেদিতে ওঠে। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গণঅধিকার পরিষদের আগে শ্রদ্ধা জানাতে চাইলে কথা কাটাকাটি ও বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে শহীদ মিনার এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি ঠিক করে।
গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের দাবি, শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার সময় তাদের বাধা দেয়া হয়। তবে ছাত্রদল বলছে তাদের বাধা দেয়া হয়নি আমরা মূল সংগঠনের পর ছাত্রদল শ্রদ্ধা দিবে সেই অনুরোধ করেছিলাম।
গণ অধিকার পরিষদের কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক জালাল দাঁড়িয়া বলেন, আমরা শ্রদ্ধা জানাতে গেলে ছাত্রদল আমাদের ফুল দিতে বাধা দেয়। আমাদের বেদি থেকে নামিয়ে দিতে চেয়েছিল ছাত্রদল। এসময় প্রতিবাদ করলে হাতাহাতির করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু তারা সফল হয়নি।
কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক সাদমান ইসলাম পলাশ বলেন, বিএনপি শ্রদ্ধা জানানোর পর আমাদের গণ অধিকার পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়। এসময় আমরা ফুল দিতে বেদিতে উঠলে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা আমাদের ধাক্কা দিয়ে উঠে যায়। তাদের সাথে কথা বলতে গেলে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয় এবং আমাকে এক প্রকার লাঞ্ছিত করে।
এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক লালন শেখ বলেন, গণ অধিকার পরিষদকে বাধা দেয়া হয়নি। বিএনপির শ্রদ্ধা জানানোর পর তারা বেদিতে উঠে গেলে আমরা শ্রদ্ধা জানানোর পর তাদেরকে দিতে বলেছিলাম। পরে নেতৃবৃন্দের নির্দেশে তাদেরকে আগে দেয়া হয়।
হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে কি না এমন প্রশ্নেরে জবাবে তিনি বলেন, তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়, তবে ছাত্রলীগ হলে অন্য কথা ছিল। তাদের সংগঠনের বয়স শুক্র-শুক্রতে মাত্র দুইদিন। তাদের কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকলেও তারা এখন ফেসবুক সংগঠন।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিএনপির নাম ঘোষনা করলে বিএনপি শ্রদ্ধা জানায়। এরপর গণ অধিকার পরিষদ শ্রদ্ধা জানাতে গেলে ছাত্রদলও শ্রদ্ধা জানাতে যায়। এ নিয়ে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হলে বিষয়টি সেখানেই মীমাংসা করে দেয়া হয়।