ছাত্রদল সম্পাদকের স্ট্যাটাস

ড. আরেফিন সিদ্দিক-ড. হারুনের ব্যক্তিগত রেষারেষির ফল সাত কলেজ সমস্যা

ছাত্রদল লোগো ও সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন নাছির
ছাত্রদল লোগো ও সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন নাছির  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পালটা ধাওয়া শেষে নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর সাত কলেজ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন নাছির। ‘ড. আরেফিন সিদ্দিক-ড. হারুনের ব্যক্তিগত রেষারেষির ফল’ সাত কলেজ সমস্যা বলে মন্তব্য করে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজ ভেরিভায়েড আইডিতে একটি পোস্ট করেন তিনি। 

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ঢাকা শহরের সাতটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুদীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘ সুনাম ও স্বতন্ত্র ঐতিহ্য থাকার পরেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদলেহনকারী সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক ও  ফ্যাসিস্ট হাসিনার আরেক সহযোগী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত রেষারেষির পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ও সুন্দর ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলে এই কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এটি ছিল একটি  অবিবেচনাপ্রসূত চরম  হঠকারী পদক্ষেপ।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভার সম্পূর্ণরূপে শেখ হাসিনা ও তার দোসর আরেফিন সিদ্দিক এর। উল্লেখ্য, ডক্টর হারুন অর রশিদ চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে ছাত্রদের ওপর আরও বেশি গুলি করে হত্যা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে। তারাই এই অধিভুক্ত কলেজের সমস্যার মূল কুশীলব। বর্তমানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে। সহিংসতা সমাধানের পথ রুদ্ধ করবে। সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে শান্তি বজায় রেখে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’

ফেসবুক পোস্টে ছাত্রদলের সেক্রেটারি নাছির লেখেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা রেজিম এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তারাই এই সহিংসতা উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। আপনারা ফ্যাসিস্টদেরকে সেই সুযোগ দিবেন না। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান সহ সকল গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আজকের বিবাদমান প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। আজ আপনারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত সৃষ্টি করে ফ্যাসিস্টদেরকে কোনো সুযোগ দিবেন না। সব ধরনের উসকানি এড়িয়ে চলুন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি, ফ্যাসিস্ট হাসিনার তৈরি করা এই সংকট দ্রুত নিরসন করুন। সকল পক্ষের মতামত শুনে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বাস্তবসম্মত একটি সমাধান বের করুন।’

উল্লেখ্য, নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের পর রাত সাড়ে তিনটার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে সায়েন্স ল্যাবসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবরোধ করবে। এতে সাত কলেজের সবাইকে অংশগ্রহণ করতে আহ্বান করা হয়েছে। সাত কলেজকে শিগগির একটি আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের বিচারের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়। 


সর্বশেষ সংবাদ