বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ ছাত্রদলের পোস্টারিং

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে পোস্টারিং করছেন এনএসইউ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে পোস্টারিং করছেন এনএসইউ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।  © সৌ

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে পোস্টারিং এবং সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম আনন্দ, সাধারণ সম্পাদক আহসান রাফিদ। এছাড়াও তামিম, শেখ সৌরভ, নাফিস, সাবিত, ফেরদৌস, রেশাদ রাফসান প্রমুখসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পোস্টারিং করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত।

এর আগে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী  ছাত্রদল। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বার্তায় জানানো হয়েছে—৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপির আলোচনা সভায় ঢাকাস্থ নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ। ৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ। এছাড়া ৭ নভেম্বর উপলক্ষ্যে সারাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পোস্টার সাঁটানো ও লিফলেট বিতরণ করা হবে।

আরও পড়ুন: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি দিল ছাত্রদল

অন্যদিকে, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ৮ নভেম্বর রাজধানীতে বিএনপি আয়োজিত র‍্যালিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবে। 

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন এবং নেতাকর্মীদেরকে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে কর্মসূচি সফল ও সার্থক করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন—জানানো হয়েছে একই বার্তায়।

আরও পড়ুন: পাবলিকে দেশসেরা ঢাবি, বেসরকারিতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান হয়, জিয়া হন গৃহবন্দি।

৭ নভেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে যুক্ত মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়া। এর মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন, পরে দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন।

বিএনপি এই দিনকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে। অন্যদিকে গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করত।


সর্বশেষ সংবাদ