আট ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসা দখলের অভিযোগ কাউন্সিলরের

আট ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসা দখলের অভিযোগ কাউন্সিলরের
আট ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসা দখলের অভিযোগ কাউন্সিলরের  © লোগো

রাজধানীর আনন্দবাজার ও বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটে পানির ব্যবসা দখল করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আট ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ১৯ ও ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী।

রবিবার (১৪ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আট ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে এ লিখিত অভিযোগ করেন রোকসানা ইসলাম চামেলী।

অভিযুক্ত আট ছাত্রলীগ নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা হলেন: আশফাক সরকার আবীর, মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল্লাহ ওমর নাসিফ, ইশরাক আহম্মেদ নাফি, সামীউল ইসলাম রাফি, আব্দুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন দিপু, অশ্রাব্য উল দৌলা কাকন।

লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে, বিগত ৬ই এপ্রিল এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বঙ্গবাজার সহ এলাকার হাজার হাজার দোকান ভস্মীভূত হয়ে ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় বিগত রমজানের ঈদের পূর্ব হইতে অমর একুশে হল ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় সদস্য আনন্দ বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার দোকানপাট, ট্রান্সপোর্ট, সাধারণ ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, হোটেল ব্যবসায়ী, পরিবহন ব্যবসায়ীসহ বসবাসরত জনগণের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেছে। 

অভিযোগ বলা হয়, বিগত ৪/৫ দিন যাবত অমর একুশে হল ছাত্রলীগের নামধারী কতিপয় সদস্য আমাদের মালিকানাধীন বঙ্গ ইসলামিয়া সুপার মার্কেটে খাবার পানির ব্যবসার নামে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তারা গত ১২/০৫/২০২৩ইং তারিখ গভীর রাতে আমাদের মার্কেটে খাবার পানি সরবরাহকারীর ৩০০ পানি ভর্তি গ্যালন ভেঙ্গে ফেলে। 

অভিযোগে আরও জানানো হয়েছে, গতকাল ১৩/০৫/২০২৩ইং তারিখ সকাল ৬ টার সময় তারা পুনরায় উক্ত সন্ত্রাসী দলের ৬০/৭০ জনের একটি চক্র দলবদ্ধ হয়ে প্রায় ২০০ পানি ভর্তি গ্যালন নিয়ে আমাদের মার্কেটের সামনে অবস্থান নেয় এবং তাদের দাবি, তারা জোর পূর্বক মার্কেটের দোকানদারদেরকে ভরা পানির গ্যালন সরবরাহ করবে। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের উক্ত অন্যায় কাজে বাধা দেই। তারা আমার সাথে মারাত্মক অশোভন ও অশালীন আচরণ করে এবং আমাকে আক্রমণ করার জন্য বার বার তেড়ে আসে। আমি শাহবাগ থানা পুলিশের সহযোগীতা নেই এবং আপনাদের সাথে যোগাযোগ করি।

ইতিমধ্যে শাহবাগ থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি অবগত হন এবং ছাত্র নামধারীদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তারা কিছুতেই শান্ত হইতে ছিল না। আমি আমার এলাকার জনগণকে সাথে নিয়ে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তারা কিছুতেই কোন বুঝ মানতে রাজি নয়—জানানো হয় অভিযোগে।

অভিযোগে জড়িতদের সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তাদের সকল কর্মকাণ্ডের ভিডিও রেকর্ড কাউন্সিলরের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে এবং যা তদন্তের সময় সরবরাহ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ