কমিটির জন্য জীবনবৃত্তান্ত নিল ঢাবির এফ রহমান হল ছাত্রলীগ

জীবনবৃত্তান্ত জমা নেওয়ার মুহূর্ত
জীবনবৃত্তান্ত জমা নেওয়ার মুহূর্ত  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৮টি হলের মধ্যে কয়েকটি হল পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে পদপ্রত্যাশীদের থেকে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করেছে। এর মধ্যে স্যার এ এফ রহমান হল পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত নেয়া শেষ করেছে।

রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত নয়টায় স্যার এ এফ রহমান হলের টিভি রুমে এই জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ কার্যক্রমে পদপ্রত্যাশীরা হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুনের কাছে তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। ওই দিনে ৪০০ জন পদপ্রত্যাশী তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।

এর আগে ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৮টি হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতৃত্ব। পরের বছরের ১৭ নভেম্বর হল কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করা হয়। ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন হলে এই কমিটিগুলো ভেঙে যায়।

দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে এবছরের ২ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিটি পায় হলগুলো। নতুন কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার সাত মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করেছে।

স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম জানান,  সৎ, মেধাবী এবং পরিশ্রমী, যারা বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপসহীন, একটি সুখী সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে তাদেরকে নিয়েই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। বিগত দিনে কারা কারা রাজপথে,অনলাইনে-অফলাইনে সংগঠনের পক্ষে কাজ করেছে তা সকলের কাছেই জানা। শুধু এটুকু বলতে পারি, কোনো অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিড এর জায়গা স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগে হবে না।

হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন জানান,  যাদের ছাত্রত্ব আছে, পড়াশোনায় ভালো এবং নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী আছে। তাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে। আমরা প্রথম দফায় সিভি নিয়েছিলাম। তারপর পদপ্রত্যাশীরা যে রেফারেন্স নাম্বার দিয়েছে। তখন তাদের এলাকায় খোঁজ খবর নিয়েছি। এটা আমাদের দ্বিতীয় দফা ও অফিশিয়াল সিভি নেওয়া। এখন আমরা দুজনে বসে সমন্বয় করে কীভাবে আরও ভালোভাবে খোঁজ খবর নেওয়া যায় সেই বিষয়গুলো আগামীর দিনগুলোতে দেখব।

কমিটিতে কেমন প্রত্যাশা জানতে চাইলে হলের সাবেক কমিটির উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রুমি বলেন, স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমার প্রত্যাশা থাকবে যারা মুজিব আদর্শ বুকে লালন করে ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সর্বদা বদ্ধপরিকর। যাদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড অওয়ামীপন্থী এবং অতীতে যারা হল ছত্রলীগের সকল মিছিল-মিটিংয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে তাদেরকেই প্রাধান্য দেয়া হবে। তাছাড়াও যাতে কোনো অনুপ্রবেশকারী হল ছাত্রলীগের কমিটিতে যায়গা নিতে না পারে সেই দিকটা আমাদের হলের সম্মানিত সভাপতি এবং সধারণ সম্পাদক মহোদয় খেয়াল রাখবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি। সর্বোপরি আমরা একটি সুন্দর কমিটি উপহার পাবো বলেই আমি বিশ্বাস করি।

আরেক ছাত্রলীগ কর্মী মহিউদ্দিন জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। আমরা আশাবাদী যাদেরকে এ কমিটিতে আনা হবে। তাদের মেধা ও যোগ্যতা যাচাই করা এবং ছাত্রত্ব আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা। প্রত্যকটা পদধারী তাদের যোগ্যতার মাপকাঠিতে পরিপূর্ণ কিনা। সেটার  বিবেচনা করা হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।


সর্বশেষ সংবাদ