ছুটিতে বাড়ি না গিয়ে ফুড কোর্ট দিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্যা

সানজিদা পারভীন অনন্যা
সানজিদা পারভীন অনন্যা  © টিডিসি ফটো

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী সানজিদা পারভীন অনন্যা। ছাত্রজীবন থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। সেই স্পৃহা থেকে নিজের প্রচেষ্টায় রাজধানীর বেইলি রোডে গড়ে তুলেছেন ফুড কোর্ট ‘যাস্ট ইয়াম’। তার দোকানে প্রতিনিয়ত স্টামফোর্ডসহ আশেপাশের এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা খেতে আসেন। 

সানজিদা পারভীন অনন্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলায়। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটিতে বাড়িতে না গিয়ে চিন্তা করেন নিজে কিছু একটা করার। সেই চিন্তা থেকেই শুরু করেন এই ফুড কোর্টের ব্যবসা।

May be an image of 6 people, hospital and text that says "তত দ্রত ১১নং"

তবে অনন্যার এ যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। তিনি বলেন, বেইলি রোড়ে এরকম অনেক ফুড কোর্ট রয়েছে। সবগুলো দোকান ছেলেদের। তার মাঝে আমার দোকান নিয়ে বসা মোটেও সহজ ছিল না। আমি পরিবারের সাপোর্টে অনেকটা সাহস পেয়েছি ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

অনন্যার যাস্ট ইয়ামে বিভিন্ন রকমের বার্গার, নাচোস, পাস্তা, উইংস, সেন্ডুয়েজ, ফ্রেন্স ফ্রাইসহ বিভিন্ন ফাস্ট ফুড আইটেম পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন নারীরা দাঁড়াতে চাইলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় তারা দাঁড়াতে পারছেন না। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সমাজের কেউ ভালো করছে; এটা একটা শ্রেণি সহ্য করতে পারেন না। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এ প্রতিবন্ধকতাটা একটু বেশিই।

May be an image of 1 person, burger and text

বেইলি রোডের পাশেই থাকেন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী নিমিতি। সে প্রথম খেতে এসেছে অনন্যার দোকানে। তার ভাষ্য, আমি এই দোকানে প্রথম এসেছি। আন্টিদের ব্যবহার দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। এই দোকানে আসার কারণ, এই দোকানটা আমার কাছে ব্যতিক্রম মনে হয়েছে।

অনন্যার এমন প্রচেষ্টা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজু আহমেদ বলেন, উনি আমার বিভাগের বড় আপু। তিনি নারী উদ্যোক্তা হিসেবে যে কাজটি করেছেন এটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। উনার প্রত্যেকটা খাবারের স্বাদ এবং মান অনেক ভালো। পড়ালেখার পাশাপাশি এমন পরিশ্রমী উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।


সর্বশেষ সংবাদ