১৩ বছরের চাকরি ছেড়ে আইসক্রিম বিক্রি শুরু সানোয়ারের

মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন
মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন  © টিডিসি ফটো

বেশিরভাগ মানুষ যেখানে পড়াশোনা শেষ করে একটি চাকরি নিয়ে কর্মজীবনে থিতু হতে চান, সেখানে অনেকটাই ব্যতিক্রম মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন। তিনি ১৩ বছরের চাকরি জীবন ছেড়ে আইসক্রিম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান দিয়ে শুরু করেছেন নতুন ব্যবসা। সেখানে নিজেই আইসক্রিম প্রস্তুত করেন, বিক্রিও করেন নিজেই। চাকরি থেকে তিনি নিজের নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। উপার্জনও ভালো হচ্ছে তার।

মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেনের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি প্রথমে মুন্সীগঞ্জ একাডেমি থেকে মাধ্যমিক, চুয়াডাঙ্গা গভমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও পরে কুষ্টিয়া গভমেন্ট কলেজ থেকে ডিগ্রী পাস করেন। বেশিরভাগ মানুষের মতো পড়াশোনা শেষ করে চাকরি শুরু করেছিলেন সানোয়ারও। কিন্তু সেখানে তিনি বেশিদিন স্থায়ী হননি।

চাকরি ছেড়ে তিনি কুষ্টিয়া শহরে আইসক্রিমের প্রস্তুত ও বিক্রির নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন। তার শপের নাম রেখেছেন রেইনবয় আইসক্রিম। তিনি বলেন, আমি আসলে স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই। যার কারণে আমার ব্যবসাকে বেছে নেওয়া। আর আইসক্রিমের ব্যবসাকে বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে, আমি নিজেও আইসক্রিম খেতে পছন্দ করি। আমি মনে করি, যার যে কাজ করতে ভালো লাগে; তার সে কাজ করা উচিত।

আরও পড়ুন: রক্তদান আবুল খায়েরের আত্মতৃপ্তি, ১১ বছরে দিয়েছেন ২৯ বার

সানোয়ার বলেন, চাকরি ছেড়ে কুষ্টিয়াতে আমি ২০২১ সালের জুনে আইসক্রিমের ব্যবসা শুরু করেছি। আমার একটা আইসক্রিমের গাড়ি আছে। যে গাড়িতে করে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসক্রিম বিক্রি করা হয়। আমি সেখানে সুলভ মূল্যে আইসক্রিম বিক্রি করে থাকি।

আইসক্রিম নিয়ে নিয়মিত গবেষণা করেন সানোয়ার। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে চার জন সেলসম্যানসহ আরও একাধিক কাজ করেন। তার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিম রয়েছে। তিনি বলেন, আমার এখানে সবথেকে বেশি চাহিদা চকলেট এবং স্ট্রবেরি আইসক্রিমের। শিক্ষার্থীরা এই দুই প্রকার আইসক্রিম খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। আগামী বছর থেকে চকবারসহ আর নতুন নতুন আইটেম যুক্ত করতে চাই।

চাকরি ছেড়ে আইসক্রিম বিক্রি করে পরিবারের হাল ধরেছেন সানোয়ার। আইসক্রিম বিক্রির উপার্জনে তিনি এখন সাবলম্বী। পরিবারে বাবা-মাকেও তিনি তার উপার্জন থেকে টেক কেয়ার করেন। চাকরি ছেড়ে ব্যবসায়ে তার এমন সাফল্যে অনেকে তার কাছে পরামর্শের জন্য আসেন। তিনি দেশের তরুণ বেকার দিয়ে কাজ করতে চান।


সর্বশেষ সংবাদ