লাল-সবুজের জার্সিতে খেলতে পারেন প্রবাসী জায়ান আহমেদ, কে এই ফুটবলার?

জায়ান আহমেদ
জায়ান আহমেদ  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের ফুটবলে যেন নতুন জোয়ার তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি দেশের হয়ে খেলতে ফিফার ছাড়পত্র পেয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল লেস্টার সিটির ফুটবলার হামজা চৌধুরী। এছাড়াও বেশ কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছেন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী জায়ান আহমেদ এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিকঠাক হলে তাকেও দেখা যেতে পারে লাল-সবুজের জার্সিতে।

সম্প্রতি বাফুফেতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ফুটবলার জায়ান আহমেদ। বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারীর সঙ্গে দেখা করেন ২০ বছরের তরুণ। সঙ্গে ছিলেন বাবা শরিফ আহমেদ, যিনি নব্বই দশকের শুরুতে তখনকার শীর্ষ লিগ ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবলে ইস্কাটন সবুজ সংঘের হয়ে দুই বছর খেলেছেন।

বাবার পথ ধরেই ছেলের ফুটবলে আসা। খেলেন লেফট ব্যাক হিসেবে। ভার্জিনিয়ার জর্জ ম্যাশন বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে স্পেন, ডেনমার্কসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি একাডেমিতে অনুশীলন করেছেন এবং টুর্নামেন্টও খেলেছেন। 

বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করার পর ভবন চত্বরে জায়ান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে হয়ে খেলতে চাই আমি। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এনসিএএ নামে একটা ফুটবল লিগ হয়, যেটির তিনটি ডিভিশন। আমি শীর্ষ ডিভিশন, অর্থাৎ ডিভিশন এক-এ খেলি জর্জ ম্যাশন বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে। ভার্জিনিয়ায় একাডেমি পর্যায়েও খেলেছি।’  

বাবার সঙ্গে ঢাকা এসেছেন ১৮ ডিসেম্বর। কদিন পর চলে যাবেন। জায়ান জানিয়েছেন, তাকে প্রথমে অনূর্ধ্ব–২৩ দলের ট্রায়ালে ডাকা হবে বলে বাফুফের তরফ থেকে বলা হয়েছে। বাবা শরিফ আহমেদও একই কথা জানিয়ে বলেন, ‘১৯৯৪ সালে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই। ৩০ বছর হলো সেখানে আছি। এখন চাই আমার ছেলে দেশের হয়ে খেলুক। অনেক দিন ধরে কথা হচ্ছিল বাফুফের সঙ্গে, অবশেষে আজ সামনাসামনি কথা হলো বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের সঙ্গে। ফুটবলার হিসেবে তাকে আমি ভালোভাবে চিনি। তিনি জায়ানের ভিডিও দেখে খুশি।’

আগামী বছর আগস্টের আগে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্প হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার স্বপ্নপূরণে জায়ানকে অপেক্ষা করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ