টানা ১১ হার দিয়ে বিপিএল শেষ দুর্দান্ত ঢাকার

  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) লিগ পর্বের ১২ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পায় দুর্দান্ত ঢাকা। সেটিও আবার এবারের আসরে তাদের প্রথম ম্যাচে। এরপর বিপিএলের ইতিহাসে তারাই একমাত্র দল হিসেবে টানা ১১ মাচ হারার রেকর্ড গড়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল। পয়েন্ট টেবিলে দলটির অবস্থান রয়েছে সবশেষে।

নামে দুর্দান্ত থাকলেও এই মৌসুমে ভরাডুবি হয়েছে দলটির। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকা হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। কিন্তু এরপর কেবলই হতাশার গল্প, ঢাকার জন্য হারই হয়ে ওঠে অমোঘ নিয়তি। নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষেও হারের বৃত্ত ভাঙতে পারে নি দুর্দান্ত ঢাকা।

শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১০ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১১ ম্যাচে ছয়টিতে জিতলো তারা। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে চট্টগ্রাম। স্বভাবতই তালিকার তলানির দল লিগ পর্বের ১২ ম্যাচে মাত্র একটিতে জেতা ঢাকা। বিপিএলের ইতিহাসে তারাই একমাত্র দল, যারা টানা ১১ মাচ হারলো। আগের টানা হারের রেকর্ড ছিল সাত ম্যাচের। 

টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে চট্টগ্রাম। তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও নিউজিল্যান্ডের টম ব্রুসের ব্যাটে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান তোলে তারা। জবাবে দুঃস্বপ্নের শুরুর পর গুছিয়ে নিলেও দ্রুত রান তুলতে পারেনি ঢাকা। তাই অ্যালেক্স রসের হাফ সেঞ্চুরির পর শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও ইরফান শুক্কুরের লড়াই কাজে আসেনি। ৫ উইকেটে ১৪৯ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। 

লক্ষ্য তাড়ায় ৯ রানের মধ্যেই অ্যাডাম রোসিংটন ও সাব্বির হোসেনকে হারায় ঢাকা। দ্বিতীয় ৫১ রানের জুটি গড়ে শুরুর চাপ সামলে নেন নাঈম শেখ ও অ্যালেক্স রস। কিন্তু কেউই টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করতে পারেননি। ৩৫ বলে ৩টি চারে ২৯ রান করে আউট হন নাঈম। এরপর রসের সঙ্গে ২৯ রানের জুটি গড়লেও শন উইলিয়ামস সেভাবে অবদান রাখতে পারেননি। ৯ বলে ৯ রান করে আউট হন জিম্বাবুয়ের এই অলরাউন্ডার। 

পরের জুটিতে ১৯ বলে ২৯ রান যোগ করেন রস ও মোসাদ্দেক। ৪৪ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৫ রান করে সালাউদ্দিন শাকিলের শিকারে পরিণত হন রস। বাকিটা সময়ে লড়ে মোসাদ্দেক ও শুক্কুর হারের ব্যবধান কমিয়েছেন মাত্র। জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে ৩৩ রান দরকার ছিল ঢাকার, দলটি নিতে পেরেছে ২২ রান। অধিনায়ক মোসাদ্দেক ১৮ বলে ৫টি চারে ২৯ ও শুক্কুর ৮ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান তিন পেসার বিলাল খান, সালাউদ্দিন শাকিল ও শহিদুল ইসলাম।

এর আগে ব্যাটিং করা চট্টগ্রামের ইনিংসে সবচেয়ে বড় নাম তানজিদ। ইনিংস উদ্বোধেন করতে নামা বাঁহাতি এই ওপেনার ১৯ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেন। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাটিং করেছেন কেবল টম ব্রুস। বাকি ছয়জনের পাঁচজনই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। তৃতীয় উইকেটে ৬৮ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তানজিদ-ব্রুস। ৩৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৮ রান করে আউট হন ব্রুস। 

এরপর ১৯তম ওভারের শেষ বল পর্যন্ত তানজিদের ব্যাটেই এগোয় চট্টগ্রাম। ৫১ বলে একটি চার ও ৬টি ছক্কায় ৭০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন চট্টগ্রাম ওপেনার। জশ ব্রাউন ১১, শুভাগত হোম ৯, শাহদাত হোসেন দিপু ৬ রান করেন। ঢাকার দুই ওপেনার শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মোসাদ্দেক ও শন উইলিয়ামস।  


সর্বশেষ সংবাদ