বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় ট্রেভিস হেড

ট্রেভিস হেড
ট্রেভিস হেড  © সংগৃহীত

বয়স মাত্র ২৯ বছর। কিন্তু তিনি একাই গোটা দেশকে মাথা উঁচু করিয়ে মাঠ ছাড়লেন। ট্রেভিস হেড বুঝিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়া দলের নির্বাচকরা কেন তাকে দলে রেখেছেন। বিশ্বকাপের ফাইনালে ১৩৭ রানের ইনিংস শুধু খেললেন তাই নয়, দেশকে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন করলেন। নির্বাচিত হয়েছেন ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।

ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন হেড। কিন্তু শুরুতেই ওয়ার্নার আউট হয়ে যান। পরপরই আউট হয়ে যান মিচেল মার্শ ও স্টিভ স্মিথ। তারপর মারনুশ লাবুসেনেকে সঙ্গী করে এগিয়ে নিয়ে যান ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতা পর্যন্ত মাঠে থাকতে পারলেন না ঠিকই, ছয় মেরে ম্যাচ জেতাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হল না।

জেতা থেকে যখন দু'রান বাকি ছিল তখন আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হেড। হাততালি দিয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন সকলেই।

আরও পড়ুন: ভারতকে কাঁদিয়ে ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ জয় অস্ট্রেলিয়ার

একটা সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে গিয়েছিল ৪৭ রানে ৩ উইকেট। ভারতীয়রা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন যে বিশ্বকাপ হয়তো জিতবেন। কিন্তু সেই আশা শেষ করলেন একাই হেড। লাবুসেনেও কম যান না। দু'জনে ক্রিজে টিকে থেকে বুঝিয়ে দিলেন কীভাবে 'আন্ডারডগ' হয়েও ম্যাচ জেতানো যায়।  

সেমিফাইনালের পর ফাইনাল, টুর্নামেন্টের দুই নকআউট ম্যাচেই কামাল দেখালেন হেড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু ধরে খেলেন হেড। ৪৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন হেড। ফাইনালেও একই চিত্র।

অস্ট্রেলিয়া যখন খাদের ধারে দাঁড়িয়ে তখন থেকে দলকে টেনে তুললেন হেড ও লাবুসেনে। তাড়াহুড়ো করে নয়, বুদ্ধি করে ম্যাচ বের করে দিলেন দু'জন। যে পিচে ভারতীয় ব্যাটাররা রান করতে পারছিলেন না, সেই পিচেই একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন। দু'জনকে দেখে মনে হচ্ছিল তারা ব্যাট করছেন না, যেন অঙ্ক কষেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ