পরিবারে ফিরল স্কুলছাত্রীর প্রেমে টাঙ্গাইলে আসা সেই তরুণী

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি   © সংগৃহীত

নবম শ্রেণির ছাত্রীর প্রেমের টানে নোয়াখালী থেকে টাঙ্গাইলে চলে আসা তরুণী বিলকিসকে তার পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে তারা যেন আর যোগাযোগ করতে না পারে, সেইজন্য দুই পরিবারকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ মার্চ) রাতে টাঙ্গাইলের ফুলকী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চেয়ারম্যান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তাদের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে বলা হয়েছে। ওই তরুণী বাসাইলে ওই স্কুলছাত্রীর কাছে চলে আসায় ইউনিয়ন জুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। স্কুলছাত্রীর পরিবারও বিব্রত বোধ করে। খবর পেয়ে ইউএনও মেয়ে দুটির পরিবারের সঙ্গে বসতে বলেন। পরে উভয়ের অভিভাবকের নিকট থেকে মুচলেকা রেখে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

ইউএনও নাহিদা পারভীন জানান, নোয়াখালীর ইউএনওর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ওই মেয়ের পরিবারকে খুঁজে বের করা হয়। এরপর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধানের কথা জানালে তিনি উভয়ের অভিভাবকের থেকে লিখিত নিয়ে দুই মেয়েকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

জানা যায়, প্রেমের টানে সোমবার নোয়াখালী থেকে টাঙ্গাইল এসেছেন ওই তরুণী। ওই তরুণীর নাম বিলকিস। টাঙ্গাইলের ওই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন : মাদ্রাসার তিন শিশু ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত বৃদ্ধ গ্রেফতার

বিলকিস জানান, ফেসবুক ও টিকটকে তাদের উভয়ের পরিচয় হয়েছে। এরপর ধীরেধীরে পরিচয় বাড়তে থাকে। প্রায় দুই বছর যাবত তারা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রাখছেন। এক অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তবে তাদের এই সম্পর্ক কোন পরিবারই মানছে না।

তিনি আরও জানান, ওরে আমি ভালোবাসি। তাই আমি চলে আসছি। আমার ওর কাছে আসাতে পরিবার রাজি ছিল না। তাই পালিয়ে আসছি। এখন ওর পরিবার রাজি থাকলে আমরা অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করবো।

স্কুলছাত্রী জানান, তাকে নিয়ে আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম। ঢাকায় আমরা দেখা করেছি। একসঙ্গে ছিলাম। পরে পরিবার গিয়ে আমাদেরকে আলাদা করছে। এরপর বাসা থেকে আমার মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। কিছুদিন পর আবার মোবাইল ফেরত দিলে তাকে আমার বাসায় আসতে বলছি।

এ স্কুলছাত্রী আরও জানায়, আমাদের কোন সামাজিক স্বীকৃতি নেই। তাও আমি তার সঙ্গেই থাকতে চাই। বাঁচলেও ওর সঙ্গে, মরলেও ওর সঙ্গে। কেউ যদি আমাদের মেরেও ফেলতে চায়, তবে একসঙ্গেই মারতে হবে। বাঁচতে হলে একসঙ্গেই বাঁচবো।


সর্বশেষ সংবাদ