অটোপাসের আশ্বাসে ছাত্রদের নিয়ে প্রার্থী মনোনয়ন জমা প্রধান শিক্ষকের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:১৫ PM , আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:১৭ PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষায় অটোপাসের নিশ্চয়তা দিয়ে মনোনয়ন পত্র জামা দিতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মো. শহীদুল ইসলাম জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় লোকসমাগম দেখাতে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেন। এ কারণে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তে সকাল ৮টায় পরীক্ষা শুরু করে পৌনে ৯টায় খাতা জমা নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিছিলে যান ওই প্রধান শিক্ষক। তবে ছাত্রীদের পরীক্ষা সাধারণ নিয়মে সকাল ১০টায় শুরু করা হয় বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আনোয়ার হোসেন নামে এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, অটোপাসের আশ্বাস দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্রহ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষা শেষ করে ছাত্রদের নিয়ে মিছিলে যেতে পারেন না
বিদ্যালয়টির নবম শ্রেণির এক ছাত্র জানায়, বুধবার আমাদের পৌরনীতি পরীক্ষা ছিল। সকাল ৮টায় পরীক্ষা শুরু হয় এবং পৌনে ৯টায় শিক্ষকরা খাতা নিয়ে নেন। ৩ ঘণ্টার পরীক্ষা পৌনে ১ ঘণ্টায় লেখা শেষ না হওয়ায় শিক্ষকরা বলেন, এ বিষয়ে সবাই অটোপাস। পরে সকাল ১০টার দিকে ট্রলারে করে বিদ্যালয়ের সব ছাত্রকে মুলাদী উপজেলা সদরে মিছিলে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অনুষ্ঠান থাকায় নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগে ছাত্রদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরে কিছু ছাত্র স্বেচ্ছায় মিছিলে গেছে। শিক্ষার্থীদের কোনো রকম অটোপাসের আশ্বাস কিংবা মিছিলে যেতে বাধ্য করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রধান শিক্ষককে জানানো হয়েছে। এছাড়া তাকে শোকজ করা হবে এবং বিষয়টিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।