‘কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের ভালো রেজাল্টের জন্য প্রশ্নফাঁস হতে পারে’

‘কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের ভালো রেজাল্টের জন্য প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে’- বলে ধারনা করছেন ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন। কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিনি।

তিনি জানান, নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত আগামি ২৯ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে শুনানি করবেন।

এ বিষয়ে নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, 'স্কুলে কোচিং ব্যবসা চালু না করতে তাকে অনুরোধ করা হয়েছিল কিন্তু তিনি তা শোনেননি। তিনি তার পছন্দের কয়েকজন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে কোচিং ব্যবসা শুরু করেন।'

আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে ফেসবুক লাইভে দুই শিক্ষার্থী!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলটির কয়েকজন এসএসসি পরীক্ষার্থী বলে, তারা বাধ্যতামূলকভাবে প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের কোচিংয়ে পড়তেন। তিনি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষেই কোচিং চালাতেন। হাতে লেখা প্রশ্নপত্র পেয়ে তারা ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা দেন। অন্য বিষয়ের প্রশ্নও তাদের কাছে পৌঁছানোর কথা ছিল।

এদিকে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক ও পিয়নকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনো পলাতক রয়েছেন অফিস সহকারী আবু হানিফ। মঙ্গলবার রাত থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইলটিও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ শনিবার দুপুরে ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, 'ওই স্কুলের অফিস সহকারী আবু হানিফকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ সম্ভাব্য সব স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।'

পুলিশ জানায়, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে ভুরুঙ্গমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও দীপক কুমার দেব শর্মাকে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের দায়িত্ব অবহেলার বিষযটি খতিয়ে দেখছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

The Daily Campus এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন