আইইএলটিএস ছাড়াই হাঙ্গেরিতে পড়ার সুযোগ

আইইএলটিএস ছাড়াই পড়তে যেতে পারেন হাঙ্গেরিতে
আইইএলটিএস ছাড়াই পড়তে যেতে পারেন হাঙ্গেরিতে  © সংগৃহীত

হাঙ্গেরির স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া অন্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় তুলনামূলক-ভাবে সহজ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, ছাত্রদের আইইএলটিএস থাকতে হয় না। প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী দেশটিতে পড়তে যায়। তাদের বেশিরভাগই চাকরির অনুমতি নিয়ে সেখানেই স্থায়ী হয়ে থাকেন। এছাড়া সহজেই ইইউ ভুক্ত দেশগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

উচ্চমানের শিক্ষা: হাঙ্গেরিয়ান শিক্ষা ব্যবস্থা উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা। ১৩৬৭ সালে উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় দেশটিতে। হাঙ্গেরি তার গবেষণা এবং উদ্ভাবনের জন্যও ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছে। এটি সেই জায়গা যেখানে প্রথম বলপয়েন্ট কলম আবিষ্কৃত হয়েছিল। তাছাড়া, হাঙ্গেরি বেসিক প্রোগ্রামিং ভাষা, হলগ্রাফি, হাইড্রোজেন বোমা, কোডাক সুপার সিক্স-২০ ক্যামেরার উদ্ভাবনের আবাসস্থল।

অধ্যয়নের বৈচিত্র্যময় পরিসীমা: আন্তর্জাতিক ছাত্রদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধ্যয়নের বিস্তৃত সুযোগ রয়েছে। প্রায় সমস্ত প্রোগ্রাম ইংরেজিতে শেখানো হয় এবং এইভাবে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ছাত্রদের জন্য উন্মুক্ত। আপনি স্নাতক, মাস্টার্স এবং পিএইচডির পাশাপাশি পড়াশোনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধ্যয়ন করতে পারেন। মেডিসিন, জীববিদ্যা, দন্তচিকিৎসা, রসায়ন, আর্থ সায়েন্স, ভেটেরিনারি, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, পদার্থবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিদ্যা অধ্যয়নের জন্য সেরা গন্তব্যগুলোর মধ্যে একটি হাঙ্গেরি। 

সাশ্রয়ী মূল্যের টিউশন ফি: হাঙ্গেরিকে কখনো কখনো সেরা সাশ্রয়ী-অধ্যয়ন-গন্তব্য হিসাবে বলা হয়। এটি একমাত্র ইউরোপীয় দেশ যেখানে আপনি প্রতি শিক্ষাবর্ষে মাত্র এক হাজার ইউরো খরচ করে আপনার স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। মাস্টার্সের ক্ষেত্রেও একই কথা সত্য যদিও আপনার কাছে ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড ডিগ্রি থাকবে যা স্পষ্টতই ইইউ এবং আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে গ্রহণযোগ্য।

বৃত্তির সুযোগ: যদিও হাঙ্গেরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি বেশ সস্তা, তবুও এটি প্রতি বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের শত শত বৃত্তি প্রদান করছে। বৃত্তি সাধারণত টিউশন ফি”র সমপরিমাণ দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে ছাত্রদের একাডেমিক কৃতিত্বের ওপর নির্ভর করে মাসিক জীবনযাত্রার খরচও প্রদান করে থাকে। 

আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় যেতে যা জানা প্রয়োজন

জীবনযাত্রার খরচ কম: কম খরচে পড়তে যাওয়ার জন্য হাঙ্গেরি ইউরোপের সেরা গন্তব্য। প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ ইউরো দিয়ে মাসের সব ধরনের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেও সেরা মানের খাবার, ডরমেটরিতে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা, যাতায়াত এবং কেনাকাটা করা সম্ভব।

খণ্ড-কালীন চাকরি: হাঙ্গেরিতে পড়তে যাওয়া ছাত্রদের কাজের পরিসর ব্যাপক। তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত সময় কাজের ফলে ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কাজ ও পড়ালেখার সমন্বয় করতে পারলে ডিগ্রি অর্জনের পর আপনি ইউরোপে সুখকর একটা ক্যারিয়ার গড়ার ব্যাপক সুযোগ পাবেন। খণ্ড-কালীন চাকরি থেকে যা আয় করতে পারবেন তা দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় মেটানো খুবই সহজ। 

ছাত্রদের কেনাকাটায় সবজায়গায় বিশেষ ছাড়: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস কিনতে ছাড় পেয়ে থাকেন। পরিবহনে ৫০% কম ভাড়া নেওয়া হয়। ঐতিহাসিক স্থান এবং জাদুঘর পরিদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান, হাঙ্গেরি জুড়ে ভ্রমণের মতো ক্রিয়াকলাপে শিক্ষার্থীদের জন্য ছাড় পাওয়া যায়। 

স্থায়ী বাসিন্দা: হাঙ্গেরি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য প্রত্যেককে একটি দুর্দান্ত সুযোগ দেয়। অনেক আন্তর্জাতিক ছাত্র এই সুযোগটি গ্রহণ করে কারণ হাঙ্গেরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করা তাদের পক্ষে এটি সহজ। স্টাডি রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে, স্নাতকদের হাঙ্গেরিতে চাকরি সুরক্ষিত করার জন্য এক বছরের বেশি সময় দেওয়া হয়। এক বা দুই বছর চাকরি চালিয়ে যাওয়ার পরে, কেউ হাঙ্গেরিতে স্থায়ী বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারেন। 


সর্বশেষ সংবাদ