বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য খরচ দ্বিগুণ করল কানাডা, কার্যকর আজ থেকে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৩ PM , আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:০২ PM
কানাডায় উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের খরচ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে দেশটির সরকার। দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার এ ঘোষণা দিয়েছেন। যা কার্যকর হবে আজ জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে। এতদিন দেশটিতে স্টাডি পারমিট পেতে হলে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার ডলার দেখাতে হতো। কিন্তু এখন তা দ্বিগুণ করা হয়েছে।
গত দুই দশক ধরে দেশটিতে স্টাডি পারমিট পেতে হলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেখাতে হতো যে ব্যাংকে তার ১০ হাজার ডলার আছে। নতুন নিয়ম অনুসারে, এখন থেকে শিক্ষার্থীদের ব্যাংকে ২০ হাজার ৬৩৫ ডলার দেখাতে হবে। এই অর্থ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য কানাডায় জীবনযাপনের নিশ্চয়তা।
মার্ক মিলার বলেছেন, কানাডায় পড়তে যাওয়ার জন্য যেসব শর্ত রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিষয়টি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমন্বয় করা হয়নি। এর ফলে কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা দেখতে পান সেখানে থাকার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তাদের কাছে নেই।
যদি কানাডার প্রদেশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আসন্ন ফল সেমিস্টারের আগে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিসা সীমিত করার কঠোর সতর্কতা দিয়েছেন মিলার।
তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। এতদিন বিদেশি শিক্ষার্থীদের ২০ ঘণ্টা কাজ করার অনুমতি ছিল। ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার অপব্যবহার নিয়ে নিয়োগকর্তা ও প্রতিষ্ঠান, উভয়কেই সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়েছেন মিলার।
অনেক দিন ধরেই সমালোচকেরা দাবি করে আসছেন কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত শিক্ষা নেই এমন বিদেশিদের সুযোগ দিয়ে আসছে এবং ওই বিদেশিদের কানাডায় কাজ করার ও স্থায়ী হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।
মিলার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কানাডার প্রদেশ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যদি আসন্ন ফল সেমিস্টারের আগে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে না পারে, তাহলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভিসা সীমিত করা হবে। প্রদেশগুলোতে কিছু ডিপ্লোমা চালু আছে, যেগুলো কেবল নামমাত্র চলছে।
ক্যাম্পাসের বাইরে থাকার জায়গা দিতে পারবে ও দায়িত্ব নিতে পারবে এমন নিশ্চয়তা দিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির করানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়ার জন্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানান মিলার।
সিবিসি জানিয়েছে, উপযুক্ত থাকার জায়গা খোঁজার ক্ষেত্রে ও বাধ্য হয়ে কষ্টের চাকরি করতে গিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীরা যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তা মোকবিলা করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মিলার বলেন, এ কারণেই আমরা আশা করি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক তত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে পড়ার সুযোগ দেবে যতজনের থাকা-খাওয়ার সুবিধা তারা দিতে পারবে।
কানাডায় বর্তমানে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৭ হাজার ৭৫০ জন। এর মধ্যে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৪০৫ জন গত বছর কানাডায় পড়ার অনুমতি পেয়েছিলেন।