ভিসা জটিলতায় হুমকির মুখে জার্মানিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা

ভিসা জটিলতা
ভিসা জটিলতা  © সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের ভিসা জটিলতা দ্রুততম সময়ে নিরসনের জন‍্য প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানিয়েছে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ‍্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ১৬-১৭ মাসেও দেশটিতে পৌঁছাতে পারেননি। ভিসা জটিলতার কারণে তাদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, জার্মান দূতাবাসের দীর্ঘসূত্রতার কারণে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি তাদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। কারণ জার্মানির ভিসা পেতে গড়ে ১৭ থেকে ১৮ মাস লাগে যাচ্ছে। এতে করে শিক্ষাবর্ষের বেশিরভাগ সময়ই দেশে বসে অপচয় হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জার্মানির টেকনিসসে হোশশুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স প্রোগ্রামের ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী জিলানী হোসেন বলেন, মহামারি শেষে জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরাসরি ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু ভিসা জটিলতায় ১৭-১৮ মাস পার হলেও আমরা ক্লাসে অংশ নিতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছে অক্টোবরের মধ্যে ক্লাসে যোগ না করলে ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, জার্মান দূতাবাসের পক্ষ থেকে ভিসা প্রসেসিংয়ের সময় ১২ মাস উল্লেখ করা হলেও, বাস্তবে ২০-২৪ মাস সময় লাগছে। ফলে ২০২১ সালের ২ জুলাইয়ের পর জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পেয়ে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া সাতশর বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অঙ্কুরেই শেষ হওয়ার পথে।

আরও পড়ুনঃ স্কলারশিপ নিয়ে পড়ুন কাতার ইউনিভার্সিটিতে

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে বন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন অনুষদের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়া বাবদ ১০ হাজার ৫২১ ইউরো বা প্রায় ১১ লাখ টাকা ব্লক অ্যামাউন্ট জমা দিতে হয়ে। এছাড়া সেমিস্টার কন্ট্রিবিউশন বা ক্ষেত্র বিশেষে টিউশন ফিও দিতে হয়। ভিসা জটিলতায় ভর্তি বাতিল হলে আমাদের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে। এভাবে চলতে থাকলে বিপুল সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়বে।

চলমান সংকট নিরসনে ভিসা জটিলতা নিরসন, দ্রুত ইন্টারভিয়ের তারিখ নির্ধারণ, প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ জনকে ইন্টারভিউয়ের সুযোগ প্রদান ও সুপার ফ্রাইডে চালুর দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- হাসিবুল ইসলাম, তামান্না তাহমিন, জহিনুর লিটন, হৈমন্তী বিশ্বাস, তানজীদ তন্ময় প্রমুখ। 


সর্বশেষ সংবাদ