গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি অনিশ্চিত রাসেলের
- হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:৩৯ PM , আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:৩৯ PM
২০টি সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জিএসটি) সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েও অর্থাভাবে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মেধাবী শিক্ষার্থী রাসেল সরকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে আবেদন করতে পারছেন না।
রাসেল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের নজির সরকারের ছেলে। তার পিতা পেশায় ভ্যান চালক। অনুষ্ঠিত জিএসটি ভর্তি পরীক্ষায় ‘সি’ ইউনিট থেকে ৬৭.৭৫ পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি ও ভর্তির টাকা সংগ্রহ নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে মেধাবী এ শিক্ষার্থী। এখন পর্যন্ত সমাজের কোনো বিত্তবান ব্যক্তি তার সহায়তার জন্য এগিয়ে আসেননি বলে জানা যায়।
রাসেল সরকার একরাশ হতাশা নিয়ে জানান, লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে আগে রাজমিস্ত্রির কাজসহ অনেক প্রকার কাজ করতে হয়েছে। কিছু সময় টিউশনি করিয়েও লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছি। কিন্তু করোনা ও ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সব ছেড়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আর্থিক সমস্যার কারণে শুধু জগন্নাথ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছি। এখন কোনো কারণে যদি এই দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পাই তবে আমার এতোদিনের লালিত স্বপ্ন একবারেই শেষ হয়ে যাবে। তাই সমাজের বৃত্তবান ব্যক্তিদের কাছে আমার অনুরোধ, আমার ক্লান্তিলগ্নে আর্থিকভাবে সাহায়তা করে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।
জানা যায়, রাসেল সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী শাহজাদপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে জেএসসি ও ২০১৮ সালে মাধ্যমিক পরিক্ষায় ব্যবসা বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে জিপিএ-৫ অর্জন করেন। পরে ২০২০ সালে শাহজাদপুর সরকারি কলেজের ব্যবসা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করে রাসেল। উচ্চ-মাধ্যমিকের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে রাজশাহী বোর্ড থেকে পরবর্তীতে তিনি সাধারণ বৃত্তি পাবার জন্য মনোনীত হন।
এদিকে, জিএসটির অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি বিজ্ঞাপ্তির সময়সীমা শেষ দিকে চলে আসায় হতাশ হয়ে পরেছে রাসেল সরকার। তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে চেয়েও অর্থাভাবে করতে পারেনি বলে জানা যায়।