কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা

পরীক্ষা না দিয়েও মেধা তালিকায় থাকার অভিযোগ

ভর্তি পরীক্ষার্থী
ভর্তি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

গুচ্ছভুক্ত সরকারি সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে তুলনামূলক বেশি নম্বর পেয়েও মেধা তালিকার পেছনের সারিতে নাম আসার অভিযোগ করেছেন ভর্তিচ্ছুরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভর্তি পরীক্ষা শেষে মূল বই, কোচিং সেন্টারের উত্তরপত্র এবং অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে প্রশ্নের উত্তর মিলিয়ে যে নম্বর পাওয়ার কথা তার চেয়ে অনেক কম নম্বর পেয়েছেন তারা। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন কয়েকজন।

তবে শিক্ষার্থীদের এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলছেন পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। তাদের দাবি, ভর্তি পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা সব সময় কম নম্বর পাওয়ার অভিযোগ করেন। এটি নতুন কিছু নয়। কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে ওএমআর শিট দেখা হয়েছে। একজনের ফল ভুল হলে সবারই ফল ভুল আসবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে দুজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে অনুপস্থিত থাকলেও প্রকাশিত ফলাফলে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে ভর্তি পরীক্ষায় আসন পড়েছিল এক শিক্ষার্থীর (রোল ১১২৬৯২)। পরীক্ষার হলে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তবে প্রকাশিত ফলে অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছেন এই শিক্ষার্থী। আর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ১২৬৫৫৪ রোল নম্বরধারী শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে পরীক্ষা দেওয়া এক শিক্ষার্থী জানান, আমার ডান পাশে ১১২৬৯২ রোল নম্বরধারী এক শিক্ষার্থীর আসন পড়েছিল। তবে ভর্তি পরীক্ষায় সে অনুপস্থিত ছিল। পরীক্ষার ফল নিয়ে অভিযোগ ওঠায় আমি ওর রোল নম্বর নিয়ে চেক করে দেখি সে অপেক্ষমান তালিকায় আছে।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া আরেক শিক্ষার্থী জানান, আমি অনেক ভালো পরীক্ষা দিয়েও অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছি। অথচ আমার হলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থেকেও পরীক্ষায় পাস করেছে। এদের মধ্যে ১২৬৫৫৪ রোল নম্বরধারী শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়েও মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। যা পুরো ফলকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এই ফল বাতিল করা হোক।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনি আমাকে রোল নম্বরগুলো দিন আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।’

সামগ্রিক ফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় যারা কম নম্বর পায় তারাই সব সময় ফল নিয়ে অভিযোগ তোলেন। ফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসঙ্গতির অভিযোগ সঠিক নয়। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টিম একত্রিত হয়ে ফল তৈরি করেছে। এখানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।


সর্বশেষ সংবাদ