ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ  © টিডিসি ফটো

ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মুখোমুখি সংঘর্ষ চলছে । কলেজের ক্যন্টিন তালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঢাকা কলেজের ক্যাফেটেরিয়া নিয়ে পূর্ব ঘটনার জেরে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এখন পর্যন্ত থেমে থেমে আবাসিক এলাকার নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লকের মধ্যকার সংঘর্ষ চলছে।  সংঘর্ষের ঘটনায় দক্ষিণায়ন হলের ২০৬ নম্বর কক্ষের আবাসিক  শিক্ষার্থী আল আমিন গুরুতর আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার খাওয়ার পর টাকা না দিয়ে উল্টো তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগকর্মী শাহরিয়া হাসনাত জিয়নের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জেরে শনিবার রাতে সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কর্মীরা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কলেজের ক্যাফেটেরিয়ায় দুপুরের খাবার খাওয়ার পর কয়েকজন ছেলে টাকা না দিয়ে যাওয়ার সময় বাগবিতন্ডতায় জড়ায়। এসময় টাকা দিতে জোর করলে জিয়ন ও তার সহযোগীরা ক্যাশের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজারকে মারধর করেন। ক্যাফেটেরিয়ার অন্যান্য কর্মচারীরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও গালিগালাজ করেন। এরকিছু সময় পরই জিয়ন সহ তার সহযোগীরা ক্যাফেটেরিয়ার দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। 

মারধরের শিকার ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার আক্তার হোসেন বলেন, এর আগেও জিয়ন প্রায়ই এসব কাজ করেছে। তার এমন আচরণে আমরা বিরক্ত। প্রায় সময়ই খাবার পর টাকা না দিয়ে অথবা কম দিয়ে চলে যেতো। গত বৃহস্পতিবারও খাবার খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যাওয়ার সময় বিল পরিশোধের কথা বলি। এসময় জিয়ন ও তার সাথের সবাই খারাপ আচরণ শুরু করে। টাকার জন্য জোড়াজুড়ি করতেই তিনি গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে মারধোর করে আমাকে ও বাকি কর্মচারীদের ভেতরে রেখেই বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় আমার এক স্টাফের একটি মোবাইল ফোনও মিসিং হয়েছে।

তবে এই ঘটনার জেরে পরবর্তীতে আবার মারধরের শিকার হয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ও কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী শাহরিয়া হাসনাত জিয়ন। 

জানা গেছে, ঐদিন (বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট) রাত এগারোটার দিকে নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের পাশের বিশ্বাস বিল্ডার্সের নিচে ক্যাফেটেরিয়ায় তালা দেওয়ার ব্যাপারে জিয়নের সাথে তর্কে জড়ান দক্ষিণ ব্লকের শিক্ষার্থীরা। কথা-কাটাকাটি একপর্যায়ে হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রুপ নেয়।  এসময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীই আহন হন। অভিযুক্ত জিয়নও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।  

জিয়ন দাবি করেন, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণে তাকে মারধোর করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি। খাবার নিয়ে অভিযোগ করার কারণে ক্যান্টিনের মালিক কাওসারের লোকজন আমাকে মারধর করেছে ৷

ক্যাফেটেরিয়ায় তালা লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন,আমি তালা দিবো কেন? আর ক্যান্টিনে তালা দেওয়া হয়নি শুধু খাবার পরিবেশন বন্ধ থাকবে। খাবারের মান ছাত্ররা প্রিন্সিপাল স্যারকে অভিযোগ করার পর স্যার এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ