জুমার নামাজ শেষে ইবিতে সিনিয়র-জুনিয়রের মারামারি, আহত ১৫

ইবিতে সিনিয়র-জুনিয়রের মারামারি
ইবিতে সিনিয়র-জুনিয়রের মারামারি  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে অনুষদ ভবনের করিডরে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, জুমার নামাজ শেষে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষার্ষের শিক্ষার্থী আল-আমিন ও তারা বন্ধুরা একসঙ্গে তাদর হলের (জিয়া হল) দিকে ফিরছিলেন। তারা অনুষদ ভবনের কাছাকাছি গেলে তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। 

আরও পড়ুন: চিকিৎসক ছাড়া কেউ সাদা এপ্রোন পরতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জামিল, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম রিংকু, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হামজা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মিনহাজ সাকিব এবং হৃদয়ের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। 

পরে মারধরের শিকার জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা প্রতিশোধ নিতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হলের সামনে অবস্থান নেয়। দুপুরে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ডাইনিংয়ে খেতে গেলে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক মারধরের শিকার হন। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ্র ভৌমিক, অর্ক এবং আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সুমন মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেন আশিক।  

আশিককে মারধরের ঘটনা জানার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে তার বন্ধুরা লাঠি, রড ও স্টাম্প নিয়ে বের হন। অপরদিকে জিয়াউর রহমান হলে আল আমীন ও সিনিয়ররাও রড, লাঠি ও স্টাম্প নিয়ে মহড়া দেন। পরে ছাত্রলীগের সিনিয়র কর্মীরা দুই পক্ষকে শান্ত করেন। 

ভূক্তভোগী আল-আমিন বলেন, গত ৩১ আগস্ট জিয়া হলে রিংকুকে আমরা মারধর করেছি মনে করে আমাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করেছে। আমাদেরকে চেয়ার ও লাঠি দিয়েও মেরেছে। তবে আমরা গতদিনের মারধরের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।

মারধরকারী রিংকু বলেন, আজকে জুমার নামাজ শেষে আসার সময় আমাদেরকে তাচ্ছিল্য করে বিভিন্ন কথাবার্তা ও সালাম দিচ্ছিল। ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‌শুনেছি সিনিয়র এবং জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এমন মারামারির ঘটনা দুঃখজনক। জানার পর বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ