গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি: জবি ভিসি

অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক জবি লোগো
অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক জবি লোগো  © ফাইল ফটো

২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের শিক্ষকরা তাদের মত দিয়েছেন। আমরা সেগুলো পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করবো।

বুধবার দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব কথা জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।

তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকছে না গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরে আমরা বিব্রত। কেননা আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেইনি। আমাদের শিক্ষকরা গুচ্ছের নানা সমস্যা নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। এই মতামত আমলে নিয়ে বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনার কথা জানিয়েছি। গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: কাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ

এদিকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা বলছেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেরিয়ে যাওয়া কঠিন হবে। কেননা রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের আহবানে সাড়া দিয়ে প্রথমবারের মতো গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজিত হয়েছে। সেখানে যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গত ৬ মার্চ গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি সভা ছিল। ওই সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও উপস্থিত ছিলেন। তবে সেখানে তিনি গুচ্ছে থাকা না থাকার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।

আরও পড়ুন: গুচ্ছের বৈঠকে আলোচনায় ‘সেকেন্ড টাইম’ ইস্যু

ওই উপাচার্য আরও বলেন, প্রথমবার এত বড় পরিসরে একটি পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে কিছু ভুল হতেই পারে। তাই বলে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়া এর কোনো সমাধান হতে পারে না। আশা করছি গতবারের মতো এবারও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকবে।

প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ জবির একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় চলতি বছরে গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়ার পক্ষে মত দেন জবির অধিকাংশ শিক্ষক। গুচ্ছ পরীক্ষার নানান অব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষার্থীর সংকটের বিষয়গুলো আমলে নিয়ে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা আয়োজনের পক্ষে মত বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরা।


সর্বশেষ সংবাদ