সিনিয়র কর্মকর্তাকে গালমন্দ ও হুমকি কুবি কর্মকর্তার
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২২, ০৬:৩৮ PM , আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২২, ০৬:৩৮ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালককে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুরে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক ড. মো. শাহাবুদ্দিন অডিট সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজে অর্থ দপ্তরের কর্মকর্তা এস. এম. মাহমুদুল হকের কক্ষে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ড. মো. শাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজে অর্থ ও হিসাব দপ্তরে গেলে একাউন্টস অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন। এক পর্যায়ে জাকির হোসেন চৌধুরী ঐ কর্মকর্তাকে 'রেজিস্ট্রারের দালাল' বলে গালমন্দ করেন। পরে এর প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে জাকির মা-বাবার নাম নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। পরে উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তারা জাকির হোসেনকে বাহিরে নিয়ে গিয়ে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু ফিরে এসে তিনি আবারও গালমন্দ শুরু করেন এবং হুমকি-ধামকি দেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন ইবির সেই প্রাধ্যক্ষ
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ড. মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি সেখানে দাপ্তরিক কাজে যাই। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই জাকির হোসেন আমার কাছে এসে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে সে আমাকে যাচ্ছে-তাই ভাষায় গালি দিতে থাকে। এমন গালমন্দ করেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা। আমি বিষয়টি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে জানিয়েছি। সেখানে সভাপতি নিজেই উপস্থিত ছিল। আমি প্রয়োজনে লিখিত অভিযোগ দিব। আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
তবে অভিযুক্ত জাকির হোসেন চৌধুরীর কাছে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি পত্রিকার কোনো রিপোর্টারের সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে জানান। এসময় তিনি সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার কাজ পড়াশোনা করা। আপনার পড়াশোনার কোন কাজে আসলে কথা বলতে পারি। আপনি লাইব্রেরির কথা লিখবেন, ডরমিটরির কথা বলবেন। পাঠাগারের কথা লিখবেন। এক পর্যায়ে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, 'যিনি আপনাকে অভিযোগ দিয়েছে তাকে জিজ্ঞেস করেন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না, কিছু জানি না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, জাকির হোসেন চৌধুরী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমরা এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সমিতির সভাপতি আজকে ব্যাস্ত ছিল তাই আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করে ব্যাবস্থা নিব।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে ককটেল উদ্ধার
জুনিয়র কর্মকর্তা একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে এভাবে গালমন্দ করতে পারেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, আমাদের দুই কর্মকর্তার মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। জাকির হোসেন চৌধুরী গালমন্দ করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কথা বলে দুইজনকে মিউচুয়াল করে দিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, এইরকম কোন অভিযোগ পাইনি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা পদক্ষেপ নিব।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার অভিযোগ রয়েছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন কর্মচারীর কাছে সুদের ব্যাবসাও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।