গাঁজা সেবনে বাধা, ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর অপর কর্মীর

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

কক্ষে গাঁজা সেবনে নিষেধ করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আসিস নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে ছাত্রলীগ কর্মী জিয়াউর রহমান জিয়া।  সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ কর্মী। মারধরের শিকার আসিসও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পরে আসিস ও তার কয়েকজন বন্ধু জিয়াকে মারধর করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, আসিস বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ৩০৮ নম্বর কক্ষে থাকেন। তার রুমমেট ইইই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সজলের রেফারেন্সে রুমে আসে জিয়াউর রহমান জিয়া। এ সময় জিয়া ও তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা তাস খেলতে বসে যায়।

কিছুক্ষণ পর রুমে কাউকে আসতে বলছেন কিনা আসিস রুমমেটকে জিজ্ঞাসা করেন। সজল কাউকে আসতে বলিনি তবে বিভাগের পরিচিত ছোট ভাই বলে জানায়। তাস খেলার এক পর্যায়ে জিয়ারা গাঁজা খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এ সময় আসিস পুনরায় তার রুমমেটকে ফোন দিয়ে অবগত করলে জিয়ার কাছে ফোন দিতে বলে। সজল জিয়াকে রুমের ভেতরে গাঁজা খেতে নিষেধ করে। গাঁজার কথা আসিস তার রুমমেটকে জানানোর কারণে জিয়া আসিসকে মারধর করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

আরও পড়ুন- শহীদ মিনারে ছাত্রলীগ নেতাকে মেরে রক্তাক্ত করলেন ছাত্রলীগ নেত্রী

প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাকলাইন মুস্তাক সিয়াম বলেন, আমি তাদেরকে গাঁজা খাওয়ার প্রস্তুতি নিতে দেখেছি। আসিস রুমে গাঁজা খেতে নিষেধ করায় তাকে মারধর করে চলে যায়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আসিস বলেন, ‘আমি তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি। বিষয়টি আমি রুমমেটকে জাননোর কারণে আমাকে মারধর করেছে। প্রথমে আমার বুকে লাথি মারে। এরপর ধাক্কা দিয়ে আমাকে বেডে ফেলে দেয়। আমি তার শাস্তি দাবি করছি।’

অভিযুক্ত জিয়া বলেন একটু ভুল-বোঝাবুঝির ফলে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আর ওরা আমাকে মাদকের কথা বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমার সহপাঠী-বন্ধু কেউ বলতে পারবে না যে আমি মাদক সেবন করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে অবগত হয়েছি। বিষয়ট সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় আজ সকালে আম বাগানে আসিস, নাইমসহ ৬-৭ মিলে অভিযুক্ত জিয়াকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা তাকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেয়।


সর্বশেষ সংবাদ