ইবির সেই কৃষ্ণচূড়া গাছের শূণ্য স্থান পূরণ

কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ
কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ  © সংগৃহীত ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকের সৌন্দর্য বাড়ানো কৃষ্ণচূড়া লাল গালিচার গাছটি কেটে ফেলা হয় গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি)। গাছটির সঙ্গে মিশে ছিল হাজারও শিক্ষার্থীর স্মৃতি। কয়েক দশক ধরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা গাছটির বিদায়ে মন খারাপ ছিল শিক্ষার্থীদের। ওই দিন অনেকে গাছটিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দেন। গাছটির শূণ্য স্থান পূরণে একই স্থানে আরেকটি কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার (৮ ফ্রেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় প্রধান ফটকের সমানে একই স্থানে কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম। এ সময় তার সঙ্গে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: ‘আমি হিজাব পরলে তাদের সমস্যা কোথায়?’ 

গাছটি কয়েকবছর পর আবারও লাল গালিচার রঙে রাঙাবে এবং গ্রীষ্মের দুপুরে গাছটির ছায়ায় বিশ্রাম নিতে পারবে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা। গাছটি পরিপক্ক হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সৌন্দর্য আগের রুপে ফিরবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, অযত্ন-অবহেলা, ডাল কাটা, বিভিন্ন পোস্টার আর বিলবোডের্র পেরেকের ভারে গাছটির মৃত্যু হয়। তাই এ গাছটির সংরক্ষণে লোহার খাঁচায় আবদ্ধ করা হয়েছে। যাতে সহজেই বেড়ে উঠতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, গাছটির রোপণ করেই শেষ নয়। গাছটির পরিচর্যা ও সংরক্ষণ করতে হবে। গাছটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটের সৌন্দর্য বর্ধনে সহায়ক হবে।


সর্বশেষ সংবাদ