খালেদা জিয়া হলে চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা

খালেদা জিয়া হলে চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা
খালেদা জিয়া হলে চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) খালেদা জিয়া হলে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। খালেদা জিয়া হল থেকে এ উদ্বেগ শেখ হাসিনা হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে জড়িয়ে পড়েছে।

আজ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়টি একাধিক আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কাছে এসব উদ্বেগের কথা জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়টি শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জুলি আক্তার বলেন, গতকাল খালেদা জিয়া হলের চুরির যে ঘটনাটি ঘটেছে খুবই হতাশাজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। এসব ঘটনায় নিরাপত্তার প্রশ্নটি বার বার মনকে নাড়া দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা যারা হলে থাকি তারা এটিকে নিজেদের বাড়ি এবং নিরাপত্তার জায়গা হিসেবেই মনে করি। বারবার চুরির ঘটনায় আমরা খুবই চিন্তিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি এসব ঘটনার জড়িতদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। যাতে পরবর্তীতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

পড়ুন: ইবিতে চুরির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ, ক্ষতিপূরণ দাবি

আরেক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হায়াত-ই-জান্নাত বলেন, আসলে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলে হলে চুরির ঘটনা ঘটবে এমনটা কেউ আসা করেনি। হঠাৎ করে ক্যাম্পাস বন্ধে সবাই বাসায় গেছে। অনেকেই দূরে বাসা এজন্য অনেক দামী এবং প্রয়োজনীয় জিনিস হল থেকে নিয়ে যেতে পারেনি। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার আমাদের সবার জন্য। আমরা সবাই আশা করছি হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত করবেন।

সুরাইয়া পারভীন বলেন, বাসা দূরে হওয়ায় একদিনে গিয়ে থাকার জায়গার অভাবে জিনিসগুলো হল থেকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। অনেকে ভাবতে পারে হল এ আবার কি এমন জিনিস রাখা আছে? আমার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র হলে রাখা আছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশাসন অনেক বেশি উদাসীন। সেটা হল চুরি ঘটনা থেকে আরো বেশি স্পষ্ট।

তবে এ চুরির ঘটনা ঠিক কবে ঘটেছে তারও কোন সঠিক তথ্য জানা যায়নি। গণমাধ্যমের কল্যাণে গতকাল শনিবার সর্বপ্রথম বিষয়টি নজরে আসরে। এরপরেও আসলে ক্যাম্পাস জুড়ে চুরির ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মহবুবর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, করোনার মধ্যে এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমরা পরিদর্শন করে দেখেছি। আইনগত যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার সেটি প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। যাতে আগামীতে আরও সতর্ক থাকা যায়।


সর্বশেষ সংবাদ