বেরোবি

লিমনের চিকিৎসায় প্রান্তিক ফাউন্ডেশনের ১ লাখ টাকা অনুদান

অনুদান হস্তান্তর করছেন উপাচার্য ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
অনুদান হস্তান্তর করছেন উপাচার্য ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ  © টিডিসি ফটো

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী শাহীনুজ্জামান লিমনের পায়ের চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ (১ লক্ষ টাকা) প্রদান করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রান্তিক ফাউন্ডেশন। আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদের মাধ্যমে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের হাতে সংগঠনের সদস্যরা এই অর্থ তুলে দেন।

অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রান্তিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং তাদের এ ধরণের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন। এসময় তিনি লিমনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বানও জানান।

অর্থ প্রদানকালে প্রান্তিক ফাউন্ডেশনের প্রধান ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রফিউল আজম নিশার খান, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রান্তিক ফাউন্ডেশনের সদস্য মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান এবং শাহীনুজ্জামান লিমনের প্রতিনিধি রতন উপস্থিত ছিলেন।

প্রান্তিক ফাউন্ডেশনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, আমাদের একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ। আমরা যে যার অবস্থান থেকে সহায়তা করলে তার শিক্ষাজীবন আবারও সুন্দরভাবে চালাতে পারবে।

জানা যায়, ২০১৮ সালে ১৪ এপ্রিল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হন শাহীনুজ্জামান লিমন। সেই সময়ে ডান পায়ে সার্জারি করতে হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২০ সালের শেষ দিকে সিএনজি চালিত অটো রিক্সার দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে পুনরায় পায়ের হাড় ভেঙে গুরুতর আহত হন। চিকিৎসকের মতানুযায়ি বর্তমানে তার পায়ের অবস্থা আশংকাজনক এবং অতি দ্রুত উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী স্যাকরামেন্টো শহর সংলগ্ন প্রবাসী বাংলাদেশীদের আর্থিক সহায়তায় এই অনুদান দেওয়া হয়। এটির উদ্যোগ নেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক ড. মাসুম আহমেদ পাটওয়ারী। প্রান্তিক ফাউন্ডেশন গত কয়েক বছর ধরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা করে আসছে।

এছাড়া, করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা, বন্যা দুর্গতদের খাদ্য ও জীবিকা উন্নয়নে সহায়তা, রোজাদারদের ঈদ আপ্যায়নসহ খাদ্য সামগ্রী ও অর্থ বিতরণ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের খাদ্য সহায়তা, ট্রান্স জেন্ডারদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং শীতবস্ত্র বিতরণের কর্মসূচি পালন করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ