করোনা ঊর্ধ্বগতীর মধ্যে সশরীরে পরীক্ষা নিচ্ছে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২১, ০৫:৫৫ PM , আপডেট: ১৭ জুন ২০২১, ০৮:০১ PM
দেশে করোনায় আক্রন্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সংক্রমণ ঠেকোতে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রোধে কঠোর লকডাউন চলছে। বন্ধ রয়েছে বাস-ট্রেন। তবে এসবের মধ্যেই সশরীরে পরীক্ষা নিচ্ছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।
জানা গেছে, দেশব্যাপী কামিল মাস্টার্স (১ বছর মেয়াদী) পরীক্ষা সশরীরে নিচ্ছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (ইআবি)। এর মধ্যে রাজশাহীর মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা, নওগাঁর নামাজগড় গাউসুল আজম কামিল মাদ্রাসা, পাবনা কামিল মাদ্রাসা, উল্লাপাড়া কামিল মাদ্রাসা, জয়পুরহাট সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা ও খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা অন্যতম। এই স্থানগুলোতে করোনার নতুন হটস্পট ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সেদিকে কর্ণপাত না করেই সশরীরে পরীক্ষা নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে জানা গেছে, শর্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সশরীরে পরীক্ষা আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষা আয়োজনের ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হবে। তবে কোনো প্রকার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল না করেই সশরীরে পরীক্ষা নিচ্ছে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।
আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বাস-ট্রেন বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারেননি।
একাধিক কামিল মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৪ জুন থেকে কামিল মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হয়। দ্বিতীয় পরীক্ষায় অনেক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। অসুস্থতা ও সীমান্ত এলাকায় যানবাহন না চলাচল করায় পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় সীমান্তবর্তী জেলার মাদ্রাসাগুলো পরীক্ষা গ্রহণে আপত্তি ছিল। তবে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গাউসুল আজমের একক সিদ্ধান্তে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গাউসুল আজম একজন সরকারি কলেজ শিক্ষক। দীর্ঘদিন ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) থাকার পর প্রেষণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন। দর্শন বিভাগের এই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি না জানলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে আছেন। বর্তমানে তাকে অর্থ বিভাগের পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বও দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গাউসুল আজম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘‘একাডেমিক কাউন্সিলের সাথে আলোচনা করেই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আর কো কথা নেই।’’