অবশেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে বারবার গোলকধাঁধায় পড়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের বাজেট মোট আটবার সংশোধন করে পাঠানোর পরও আলোর মুখ দেখেনি। এতে পাঠ গ্রহণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৭ মে) একনেকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তা পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৯ এপ্রিল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্ছ শিক্ষা বিভাগ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০২৫ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দশম সভা বুধবার (৭ মে) বেলা ১১টায় শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।’

আরও পড়ুন : হাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন আজ

একবার-দুবার নয়, আটবার ফেরত পাঠানো হয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব। এ সময়ের মধ্যে অনুমোদন তো মেলেইনি, প্রকল্পের আকার ও ব্যয় কমানো ছাড়া দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতিও হয়নি। ফলে বারবার পুনর্গঠন আর সংশোধনের গোলকধাঁধায় আটকে যায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পটি।

জানা গেছে, নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রথম প্রকল্প প্রস্তাব করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৯ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প প্রস্তাবটি ফেরত দিয়ে ব্যয় এবং আকার কমানোর সুপারিশ করা হয়। পরে আরও পাঁচবার প্রস্তাব করা হলেও অনুমোদন না দিয়ে সংশোধনের জন্য একইভাবে ফেরত দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে প্রকল্পের আকার ও ব্যয় কমানো ছাড়া দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যয় সংকোচন-নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত বছরের ডিসেম্বরে সাতবারের মতো প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়। এবার ব্যয় আগের থেকে ৮৯ শতাংশ কমিয়ে প্রস্তাব করা হয় ৯৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। তাতেও সাড়া মেলেনি। প্রস্তাবিত প্রকল্পের ওপর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পর্যালোচনা সভায় আবারও ব্যয় কমানোর সুপারিশ করা হয়।

আরও পড়ুন : পাক-ভারত হামলায় চীন-তুরস্কের বিবৃতি— কে কার পাশে দাঁড়াল?

এদিকে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলন করেন স্থানীয় ছাত্র-জনতাও।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৮ মে বিশ্বকবির ১৫৪তম জন্মবার্ষিকীতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালের ১১ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে 'রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ আইন,২০১৫'-এর খসড়া অনুমোদন পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই সংসদে পাস হয় ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আইন’।


সর্বশেষ সংবাদ