ক্যামেরার লেন্স চুরির অভিযোগে বহিরাগতের মারধরের শিকার কুবি শিক্ষার্থী
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২০ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৫৬ PM

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আনাস আহমেদ ক্যামেরার লেন্স চুরির অভিযোগে বহিরাগত যুবকদের দ্বারা মারধরের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কুমিল্লা শহরের একটি হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠানে ‘নবাব ফটোগ্রাফি’ এজেন্সির ক্যামেরার লেন্স চুরি করেন আনাস আহমেদ ও তার সহপাঠী শামীম ভুঁইয়া। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে তাদের চুরির দৃশ্য শনাক্ত করা হয়। পরে ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাদের পরিচয় প্রকাশ্যে আসে।
এ ঘটনায় রাব্বি এলাহীর নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়টি মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন যুবক ক্যাম্পাসে এসে আনাসকে ধরে মারধর করে এবং স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে নেয়। অভিযোগ রয়েছে, তারা আনাসকে অপহরণেরও চেষ্টা করে। পরে শিক্ষার্থীরা তিনজন হামলাকারীকে ধরে প্রক্টর অফিসে সোপর্দ করেন।
ঘটনার পর খালি গায়ে আনাসের স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং প্রক্টর অফিসে উত্তেজনা দেখা দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান, মামুন চৌধুরী, এবং কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট মো. হারুন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
‘নবাব ফটোগ্রাফি’ টিমের সদস্য রাব্বি এলাহী জানান, তার ব্যবহৃত ভিলট্রক্স ৮৫ মিমি প্রাইম লেন্স খোয়া যাওয়ার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে মারধরে তিনি অংশ নেননি বলে দাবি করেন।
আনাস আহমেদ তার বিরুদ্ধে ওঠা চুরির অভিযোগ স্বীকার করে পুলিশকে চুরিকৃত লেন্সের অবস্থান জানান। তার দেওয়া তথ্যমতে, পুলিশ তার সহপাঠী শামীমের বাসা থেকে ক্যামেরার লেন্স উদ্ধার করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম বলেন, ‘চুরি হওয়া লেন্স উদ্ধার করে পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা চলছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আনাস ও শামীম দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্তির সঙ্গে জড়িত এবং মাদকের টাকা জোগাড় করতেই তারা চুরির পথে নামেন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতেও আনাস গাঁজাসহ আটক হয়ে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে ধরা পড়েছিলেন এবং মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পেয়েছিলেন।
সদর দক্ষিণ থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।