তিতুমীর কলেজ

গ্রুপ থেকে রিমুভ করার জেরে সিআরকে চড়-থাপ্পড় ছাত্রদল নেতার

অভিযুক্ত মো. জাহিদ হাসান
অভিযুক্ত মো. জাহিদ হাসান  © টিডিসি সম্পাদিত

সরকারি তিতুমীর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে রিমুভ করার জেরে ইংরেজি বিভাগের সিআর (ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ) মো. জুবায়ের ইসলামকে চড়-থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে। আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বিভাগের সামনে মো. জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে ৪-৫ জন ছাত্রদল নেতা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। 

জানা গেছে, ঘটনায় আরও জড়িতরা হলেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাইমিনুল আবেদন রাফি ও নাইমুল ইসলাম রাফিন। এছাড়াও হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন তাদের সহপাঠী নাবিল হোসেন এবং মো. শিমুল সরকার সৈকত। 

ভুক্তভোগী মো. জুবায়ের ইসলাম বলেন, রমজানের শুরুতে আমাদের বিভাগের একটি গ্রুপে (যেখানে ২০০-র অধিক সদস্য রয়েছে) সবাই প্রয়োজন ছাড়া কোনো মেসেজ দিত না। রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষার্থে অধিকাংশ সদস্যই নীরব থাকতেন। কিন্তু কিছু সদস্য অতিরিক্ত মেসেজ দিয়ে অন্যদের বিরক্ত করতেন এবং মাঝে মাঝে অশ্লীল ভিডিও ও রিলস শেয়ার করতেন। এতে বিরক্ত হয়ে প্রতিদিন ৩-৪ জন করে সদস্য গ্রুপ ছেড়ে দিচ্ছিলেন। আমি যেহেতু গ্রুপের অ্যাডমিন, তাই ভারসাম্য রক্ষার জন্য ওই বিরক্তিকর আচরণ করা চারজনকে গ্রুপ থেকে বের করে দিই। 

তিনি আরো বলেন, ঈদের পর আজকে তারা সবাই কলেজে আসে এবং দ্বিতীয় ক্লাস শেষে তারা আমাকে বিভাগের সামনে কথা বলার জন্য ডাকে। আমি কিছুটা দেরি করে সেখানে যাই। সেখানে পৌঁছানোর পর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জাবিদ হাসান বলতে থাকে কেন আমি দেরি করে গিয়েছি এবং কেন তাদের গ্রুপ থেকে বের করে দিয়েছি। এক পর্যায়ে সে আমার কলার ধরে ফেলে এবং এক হাতে কলার ধরে অন্য হাতে আমাকে চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে। এরপর চোখ রাঙিয়ে হুমকি দিয়ে বলে—এ ক্যাম্পাস ওদের দখলে, ভবিষ্যতে যদি এমন কিছু করি তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন বলেন, আমরা একসাথে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ওরা জুবায়েরকে ডাকছিল। আমি ভেবেছিলাম, হয়ত সাধারণভাবে ডাকছে। কিন্তু জুবায়ের আসার পরই চোখের পলকে ওরা ওর কলার ধরে ফেলে। আমি কিছু বলার আগেই ওরা জুবায়েরকে চড়-থাপ্পড় দেন। আসলে কিছু বোঝার আগেই ঘটনা ঘটে যায়। আর আমি তো একজন সাধারণ শিক্ষার্থী, দলীয় ছেলেদের কিছু বলার সাহসই করতে পারিনি।

অভিযুক্ত মো. জাহিদ হাসান বলেন, বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। এরপরও যদি সে ঘটনাটি বড় করতে চায়, তাহলে আমি সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করব। এ কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন এই প্রতিবেদকের।

এ বিষয়ে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসাইন বলেন, আমি এখনো ঘটনা সম্পর্কে অবগত নই। অভিযোগ সত্য হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ