বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রোভিসির পাল্টাপাল্টি নোটিশ, প্রশাসনে অস্থিরতা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৯ PM , আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৯ PM

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি নিয়ে একটি সভা আহ্বান করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানি। তবে এর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনের নির্দেশে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম এক নোটিশে সাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আরেকটি পাল্টা নোটিশ জারি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জারিকৃত দুটি নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়। এ নিয়ে প্রশাসনে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ফলে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ব্যাহত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
নোটিশে দেখা যায়, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১১টায় উপ-উপাচার্যের অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি নিয়ে একটি সভা আহ্বান করা হয়। সেখানে সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পাল্টা নোটিশে উপ-উপাচার্যের নোটিশকে বিধিবহির্ভূত উল্লেখ করে বলা হয়, ‘আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন উপাচার্য। তার নির্দেশ ও অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো পত্র কোনো দপ্তরপ্রধান, কর্মকর্তা বা অন্য কেউ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর উদ্দেশ্যে প্রেরণ করতে পারেন না। যদি কেউ এ রকম পত্র প্রেরণ করেন, তা বিধিবহির্ভূত। সংগত কারণে সহ-উপাচার্যের নির্দেশক্রমে প্রেরিত পত্রটি নিয়মবহির্ভূত। ওই পত্রটি কোনোভাবেই আমলে না নেওয়ার জন্য উপাচার্যের নির্দেশে অনুরোধ করা হলো।’
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, উপাচার্যের নির্দেশক্রমে আমি চিঠি দিয়েছি। উপাচার্য যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবেই আমি চিঠি দিয়েছি। আমি উপাচার্যের সচিব। উপাচার্যের আদেশ নির্দেশ শোনাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কাজ ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাকে সরকার নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করার। আইন অনুযায়ী অ্যাকাডেমিক বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব আমার। আমি আইনের মধ্যে থেকে আমার দায়িত্ব পালনে অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি জানতে চেয়ারম্যানদের সাথে কি বসতে পারি না ? এটা বিধিবহির্ভূত হয় কীভাবে? বরং আইন অনুযায়ী আমাকে আমার দায়িত্বগুলো গত তিনমাসেও বুঝিয়ে না দিয়ে উপাচার্য আইনভঙ্গ করেছে।