জবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা: বিবৃতিতে ২ ছাত্র সংগঠন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়   © সংগৃহীত

সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছেন ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এমন পরিস্থিতি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিবৃতিও দিয়েছে জবির ছাত্র অধিকার পরিষদ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।   

জানা যায়, জবি ছাত্রদলের পূর্বের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে (২৪ ডিসেম্বর) ২৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক ও শামসুল আরেফিনকে সদস্যসচিব করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এছাড়াও গেইটলক কর্মসূচি পালন, দফায় দফায় ক্যাম্পাসে মিছিল করছেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এতে নিরাপত্তাহীন ভুগছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

এদিকে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি একে এম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জবি শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পুরো ক্যাম্পাসের জন্য উদ্বেগজনক। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও নীরব ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের জন্য নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে। 

এছাড়াও বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য আপেল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ক্যাম্পাসে স্থিতিশীল পরিবেশ ঠিক রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জবি ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ক্যাম্পাসে শোডাউন, প্রধান ফটক অবরুদ্ধ এবং রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ছাত্রদলের একটি গ্রুপ।

ফলে ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ফলে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস দেখেছি, প্রভাব বিস্তার নিয়ে হামলার ঘটনা দেখেছি। আমরা সেই দিনগুলোর পুনরাবৃত্তি চায় না। 

ক্যাম্পাসের এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ক্যাম্পাস কোন দলের ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। ক্ষমতার দাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট আটকানো কোন ধরনের আচরণ? দলীয় ব্যাপারে দলীয় কার্যালয় আটকান। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট আটকানো হয় কোন যুক্তিতে? 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence