ইবির ‘সান্ধ্য আইন’ শুধু শীতকালীন ছুটির জন্য 

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্টের সঙ্গে শিবিরের নেতারা সাক্ষাৎ করেন
প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্টের সঙ্গে শিবিরের নেতারা সাক্ষাৎ করেন  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য জারিকৃত আলোচিত-সমালোচিত ‘সান্ধ্য আইন’ শুধু শীতকালীন ছুটিতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে তার সঙ্গে শাখা ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে এ তথ্য জানান তিনি। 

এ সময় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানীও উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে প্রভোস্ট কাউন্সিলের ১৪০তম সভায় ছেলেদের রাত ১১টার মধ্যে এবং মেয়েদের মাগরিবের আজানের ১৫ মিনিটের মধ্যে হলে প্রবেশ করার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়। এ  নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছিল।

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, ক্যাম্পাস ছুটি থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি গেছে। হলে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম। হলে অনেক সময় বহিরাগতরা প্রবেশ করে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। এসব রোধে প্রভোস্ট কাউন্সিলর সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটা পরিবার হিসেবে বিবেচনা করি। শীতকালীন ছুটিতে নিরাপত্তা জোরদার করার স্বার্থে এ প্রবেশসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে স্পেসিফিকভাবে শীতকালীন শব্দটা না আসায় শিক্ষার্থীদের কাছে ভুল বার্তা গেছে।’

এ সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের অধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবি পেশ করেন। এর মধ্যে হলগুলোতে নতুন করে কোনো সিন্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া, হলের অভ্যন্তরে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা ও মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট চালু করার দাবি জানানো হয়।

আরো পড়ুন: আপাতত ২০০ নম্বরে হবে বিসিএসের ভাইভা, নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কবে?

শাখা শিবিরের সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রত্যেক আবাসিক হলে বিশেষ করে ছাত্রীদের হলে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা এবং নারী মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ও জরুরি ওষুধের সরবরাহ রাখার দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি হাউজ টিউটররা হলে নিয়মিত অবস্থান করলে অনেক সমস্যা কেটে যাবে। 

তিনি বলেন, ‘স্যার আশ্বস্ত করেছেন যে, সময়সীমা ছুটিকালীন সময়ের জন্য নির্ধারণ করেছে। অন্য দাবিসমূহ শীতকালীন ছুটির পর কাউন্সিল মিটিংয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।’

এ ছাড়া ছাত্রীদের আবাসিক হলের ভেতরে নারী শিক্ষার্থীদের অবাধে চলাফেরা করার সুবিধার্থে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী।


সর্বশেষ সংবাদ