তিতুমীর কলেজে শীতের আবহ, জমে উঠেছে ব্যাডমিন্টন খেলা
- আল আমিন মৃধা
- প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ PM , আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ PM
উত্তরের হিমেল হওয়ার প্রবাহ, নিঃশব্দে জানিয়ে দেয় শীতের আগমনি বার্তা। শীতের এই আগামিনী বার্তা হলো গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের অলিতে গলিতে ব্যাডমিন্টনের কোর্ট। বাংলাদেশে ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ সংখ্যা বেশি হলেও শীত আসলে ব্যাডমিন্টন খেলার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় বহুগুণ। শীতের মৌসুমে এখন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি ব্যাডমিন্টন খেলায় মত্ত থাকে প্রায় সব বয়সের মানুষ।
রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী সরকারি তিতুমীর কলেজ এখন চলছে সেই মৌসুম। কলেজের প্রধান ফটকের সামনে কাটা হয়েছে ব্যাডমিন্টনের কোর্ট। এক পক্ষে দুই জন করে মোট চারজনের অংশগ্রহণে মেতে উঠছে এই খেলায়। কলেজের প্রধান ফটকের সামনে বাসার সিঁড়িতে বসে খেলা উপভোগ করছে শিক্ষার্থীরা। যেকোনো একপক্ষ পয়েন্ট পেলে উল্লাসে ফেটে পড়ছেন দর্শক সাড়িতে বসে থাকা শিক্ষার্থীরা।
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাহিন শীলা বলেন, শীতের রাতে ব্যাডমিন্টন খেলা দেখতে আমার বেশ ভালো লাগে। ঠান্ডা হাওয়ার মধ্যে খেলার উত্তেজনা যেন আরও বাড়িয়ে তোলে। আমার বান্ধবীরা যখন খেলে, আমি পাশে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে তাদের খেলা দেখি। ব্যাডমিন্টন শুধু আনন্দের মাধ্যম নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, শীতের দিনে ব্যাডমিন্টন খেলা অত্যন্ত জনপ্রিয়। শরীর গরম রাখার জন্য অনেকেই এই খেলায় অংশ নেয়। আমরাও প্রতিদিন এখানে ব্যাডমিন্টন খেলি। তবে আমাদের কিছু সরঞ্জামের সংকট রয়েছে। যদি এই সংকট দূর করা যায়, তাহলে খেলার আনন্দ আরও বাড়বে এবং আমরা ভালোভাবে খেলতে পারব।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বাসেদ শরিফ বলেন, ব্যাডমিন্টন আমার প্রিয় খেলা। আমি এই খেলার মাধ্যমে শারীরিক এবং মানসিক দুইভাবেই প্রশান্তি অনুভব করি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় থেকে শুরু করে গভীর পর্যন্ত কলেজ প্রাঙ্গণে আমরা ব্যাডমিন্টন খেলি।
তিনি আরো বলেন, শুরুতে আমি নিজ উদ্যোগে লাইট, নেট, ব্যাটসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যবস্থা করি। তবে ব্যাডমিন্টন একটি ব্যয়বহুল খেলা, আমাদের খেলার জন্য আরও সরঞ্জামের প্রয়োজন। যদি কলেজ প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করত, তাহলে শিক্ষার্থীরা আরও ভালোভাবে খেলার সুযোগ পেত। অর্থের অভাবে আমরা একবার একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করেও তা স্থগিত করতে বাধ্য হই।