আমরণ অনশনে বসে অসুস্থ ইবির ২ ছাত্রী

  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে চারুকলা বিভাগের নামে বরাদ্দকৃত রুম থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ এবং বরাদ্দকৃত কক্ষ বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশনে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ২ নারী শিক্ষার্থী। তারা হচ্ছেন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কথা এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের কবিতা।

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনের চত্বরে এই অনশন কর্মসূচি শুরুর একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা। এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা দ্রুত তাদের মেডিকেলে নিয়ে যায়। বিভাগের নামে বরাদ্দকৃত ২৫টি রুম বুঝে পাওয়ার দাবিতে তাদের এই আমরণ অনশন কর্মসূচি।

দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদুল হাসান বলেন, অনশনরত থেকে অসুস্থ হয়ে আমাদের এখানে দুইজন ছাত্রী এসেছে। আসার পরপরই আমি তাদের দেখেছি। অসুস্থতার বিষয়টি বেশী গুরুতর নয়। আমাদের এখানেই তাদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। 

অনশন কারী শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য স্যার নিজে এসে আমাদের বরাদ্দকৃত কক্ষে উঠিয়ে দিবেন তখন আমরা এই অনশন থেকে সরে আসবো। তিনি আমাদেরকে যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের রুমের দখলদারিত্ব উৎখাত করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আগামীকাল উপাচার্য সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের সাথে বসে ক্লাসরুমের বিষয়টা সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন। উপাচার্য স্যার কথা বলার পর আমাদের আর কিছু বলার থাকে না। আমি নিজেও তাদের অনুরোধ করছি অবস্থান ছেড়ে দিতে। তারপরও যদি না যায় ওরা তাহলে আমরা নিরাপত্তার দায়িত্বে আছি এবং থাকবো।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ফোনকলে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, আগামীকাল সকালে ফার্স্ট প্রায়োরিটি দিয়ে আমি এ বিষয়টি দেখবো। কলা অনুষদের ডিন আসবেন, আমিও থাকবো, সবার সাথে কথা বলে তোমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথমেই উদ্যোগ গ্রহণ করবো। আমি তোমাদের অনুরোধ জানাচ্ছি আজকে এখন অবস্থান না করে যার যার হলে চলে যেতে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অন্যান্য বিভাগের ক্লাস এক থেকে দুই ঘণ্টা হলেও তাদের নিয়মিত ৪ টা পর্যন্ত টানা ক্লাস করতে হয়। কখনো তাদের একটা ক্লাস শুরু হলে এক সপ্তাহও লেগে যায়, তাদের ক্লাস ও ব্যবহারিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য ছুটির দিনেও তাদের ক্লাস করতে হয়। তাদের যেখানে প্রয়োজন ১৫ টা ক্লাসরুম সেখানে তারা ৬ টা ক্লাসরুম পাবে। কিন্তু তাদের নামে বরাদ্দকৃত রুমগুলোও আবার ফোকলোর স্টাডিজ ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ দখল করে রেখেছে। আমাদের অনেক আশ্বাস দিলেও ফল পাইনি। অন্যান্য বিভাগ এক রুমে ৯০ জন ক্লাস করতে পারলেও আমরা দশের অধিক ক্লাস করতে পারি না। এজন্য আমাদের ক্লাসরুম প্রয়োজন। 


সর্বশেষ সংবাদ